সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ২৩, ২০২০
১১:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৩, ২০২০
১১:৪৬ অপরাহ্ন
কলকাতার প্রথম সারির দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি বাংলাদেশ সম্পর্কে এক প্রতিবেদনে ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করার ফলে বিপুল সমালোচনার মুখে পড়ে। যার ফলে নিঃশর্ত ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।
আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) পত্রিকায় ‘ভ্রম সংশোধন’ দিয়ে ক্ষমা চায় আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ।
রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ পণ্যে চীনের শুল্কছাড়ের সাম্প্রতিক ঘোষণাকে ‘খয়রাতি’ হিসেবে উল্লেখ করে গত ২০ জুন প্রতিবেদন ছাপে আনন্দবাজার পত্রিকা।
আজ ‘ভ্রম সংশোধন’ শিরোনামে দৈনিকটি লিখেছে- ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেইজিং’ শীর্ষক খবরে খয়রাতি শব্দের ব্যবহারে অনেক পাঠক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী।’
চীন-ভারত সীমান্ত লাদাখে বেশ কদিন ধরে দেশ দুটির সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। গত ১৫ জুন ওই সীমান্তে রড-লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহত, বেশ কজন আহত ও নিখোঁজ হয়।
এই উত্তেজনার মধ্যে চীন সরকার বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কছাড়ের ঘোষণা দেয়, যদিও শুল্কছাড়ের বিষয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনাটি পুরনো।
এ ঘোষণার পর ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেইজিং’ শীর্ষক প্রতিবেদন ছাপে আনান্দবাজার, এর শুরুতে ‘বাণিজ্যিক লগ্নি আর খয়রাতির সাহায্য ছড়িয়ে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চীনের নতুন নয়’ বলে লেখা হয়।
সংবাদটি বাংলাদেশের মানুষকে বিপুলভাবে নাড়া দেয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আনন্দবাজার পত্রিকার কঠোর সমালোচনা করেন।
তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে ২১ জুন আনন্দবাজার পত্রিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি কুদ্দুস আফ্রাদ জানান এই প্রতিবেদন তিনি পাঠাননি। তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এ রিপোর্ট আমার লেখা নয়। আমি নিজে এ রিপোর্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি’। বিষয়টি আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
বিএ-১৮