দেশে একমাসে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৭, ২০২০
০৭:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২৭, ২০২০
০৭:০৪ পূর্বাহ্ন



দেশে একমাসে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি

ফাইল ছবি

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪০ জন। করোনা সংক্রমণের ১১১ দিনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন এক হাজার ১৬১ জন। এর আগে গত ২৫ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫০১ জন। অর্থাৎ দেশে করোনায় মোট মৃত্যু গত একমাসে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুন) কোভিড-১৯ বিষয়ক নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। 

এর আগে গত ১০ জুন মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। সেদিন ৩৭ জনের মৃত্যুসহ মোট এক হাজার ১২ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ, তার ঠিক ১০ দিন পর প্রথম করোনায় মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। এরপর থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা দৈনিক ছিল না এবং পাঁচ এপ্রিল পর্যন্ত মোট মৃত্যুবরণ করেন আট জন। পুরো মার্চ মাসে করোনায় মৃত্যুবরণ করেন পাঁচ জন, এপ্রিলে ১৬৩ জন আর মে মাসে ৪৮২ জন।

গত ছয় এপ্রিল থেকে নিয়মিত মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর, ছয় এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০ জনের মধ্যে, ১০ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মৃত্যু হয় ১১ থেকে ১৯ জনের মধ্যে। দুই দিন পর ১৮ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত মৃত্যু হয় ২০ থেকে ২৮ জনের। আর গত ৩১ মে থেকে মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩০-এর ওপরে চলে যায়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।

দক্ষিণ এশিয়ার ভেতরে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে এখনও মৃত্যুর হার কম। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া মৃত্যুর হিসেবের সঙ্গে বাস্তবতার বিস্তর ফারাক রয়েছে।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে জানা যায়, দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর ৭৭ শতাংশ পুরুষ এবং ২৩ শতাংশ নারী। এরমধ্যে ৩৯ শতাংশের বয়স ৬০-এর বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৯ দশমিক ৬২ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আট দশমিক ২৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিন দশমিক চার শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ১০ বছরের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ।

এছাড়া দেশে মোট আক্রান্তের ৭১ শতাংশ পুরুষ ও ২৯ শতাংশ নারী। এরমধ্যে ২১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের সংখ্যা বেশি। এরপর আছে ৪১ থেকে ৫০ বছরের, যার পরিমাণ ১৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ শতাংশ, ৬০ বছরের ওপরে সাত শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী সাত শতাংশ এবং ১০ বছর বয়সী তিন শতাংশ।

এসজেএ/বিএ-০৪