ছাতক প্রতিনিধি
জুন ২৭, ২০২০
০৯:৩৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৭, ২০২০
০৯:৪১ অপরাহ্ন
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ছাতকে বড় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন নতুন এলাকা হচ্ছে প্লাবিত। ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ওপর প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
অলি-গলি এবং বাসা-বাড়ির আঙিনাতেও পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন পৌর শহরের মানুষজন। আশঙ্কা রয়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ারও। বর্তমানে সুরমা চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধিও অব্যাহত রয়েছে।
আজ শনিবার (২৭ জুন) সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি ১৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বর্ষণে সুরমা, পিয়াইন ও চেলা নদীতে পাথর ও বালুবাহী বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেডে লোডিং-আনলোডিং প্রায় বন্ধ রয়েছে।
এদিকে উপজেলার প্রায় সবকটি বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবন সহ সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
পানিবন্দি এসব মানুষ বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক ঘরবাড়ি, দোকানপাট বন্যায় প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষের জন্য কোনো আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়নি। পৌঁছায়নি কোনো ত্রাণ সামগ্রীও।
এদিকে বন্যার মধ্যেও ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালার ডাল ভেঙে গেছে। এতে উপজেলার ধারন বাজার এলাকায় দোকানপাটের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির জানান, কন্ট্রোল রমের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতির সার্বক্ষনিক খবরা-খবর রাখা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা তিনি পরিদর্শনে যাচ্ছেন বলে জানান।
এমএ/আরসি-০২