তাহিরপুরে ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

তাহিরপুর প্রতিনিধি


জুলাই ০৪, ২০২০
১২:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৪, ২০২০
০১:৪০ পূর্বাহ্ন



তাহিরপুরে ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে মাইন উদ্দিন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার লামাশ্রম গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) রাতে উপজেলার বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের লামশ্রম গ্রামে।

গুরুতর আহত অবস্থায় মাইন উদ্দিনকে তার স্বজনেরা উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে আজ শুক্রবার (৩ জুলাই) সকালে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামাশ্রম গ্রামের সুনু মিয়ার ছেলে জমশেদ মিয়া (৩৮) মাইন উদ্দিনের মেয়ের স্বামী জহির মিয়ার কাছে ১০ হাজার টাকা পান। ওই পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জমশেদের শ্যালক একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের ছেলে মাইন উদ্দিন আহত মাইন উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। 

এ সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাইন উদ্দিন এবং তার ভাই কুতুব উদ্দিন (২৮), বাছির মিয়া (৩২) ও তার ভগ্নীপতি জমশেদ মিয়াসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জহির মিয়ার শ্বশুর মাইন উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং তাকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী লামাশ্রম গ্রামের কবরস্থানে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরে মধ্যরাতে কবরস্থানের পার্শ্ববর্তী বাড়ির রুপ মিয়া হঠাৎ করে কারও গোঙানোর শব্দ শোনে ঘরের বাইরে এসে দেখেন কবরস্থানে কে যেন পড়ে রয়েছে। তা দেখে রুপ মিয়া চিৎকার শুরু করলে গ্রামের লোকজনসহ মাইন উদ্দিনের আত্মীয়-স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিয়ে শুক্রবার সকালে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, হামলাকারী মাইন উদ্দিন ও জমশেদ গংদের অত্যাচারে এলাকার অনেক নিরীহ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস পায় না।

এ ঘটনায় আজ শুক্রবার আহত মাইন উদ্দিনের চাচা বাবুল মিয়া বাদী হয়ে হামলাকারী মাইন উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার এসআই জহর লাল দত্ত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, 'বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

 

এএইচ/আরআর-০৭