ত্রাণ না পেয়ে দুর্ভোগে জগন্নাথপুরের পানিবন্দি মানুষ

আলী আহমদ, জগন্নাথপুর


জুলাই ০৮, ২০২০
১০:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৮, ২০২০
১০:৩৩ অপরাহ্ন



ত্রাণ না পেয়ে দুর্ভোগে জগন্নাথপুরের পানিবন্দি মানুষ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যার পানি কমেছে। তবে প্লাবিত এলাকাগুলোর মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। ঘরবাড়ির চারপাশে এখনও পানি থাকায় কার্যত পানিবন্দি হয়ে আছে হাজারও পরিবার। সেখানে কোনো ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছায় দুর্গতদের দিন কাটছে চরম কষ্টে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার হাওরবেষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ভুরাখালি, দাসনাগাঁও, হরিণাকান্দি, কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা, জগদ্বীশপুর, কামারখাল, গলাখাই, কান্দারগাঁও, নোয়াগাঁও, পাড়ারগাঁওসহ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ১০ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এছাড়া জগন্নাথপুর পৌরসভার যাত্রাপাশা ও শেরপুর এলাকার একাংশ বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। এসব এলাকার গ্রামীণ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। এসব এলাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

হাওরাঞ্চলের দাসনাগাঁও গ্রামের কৃষক গ্রেমানন্দ দাস বলেন, 'বন্যায় বসতবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় পরিবার-পরিজন ও ৪টি গবাদিপশু নিয়ে আমি আমার এক আত্মীয়ের উচুঁ বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। বসতঘরের ভেতর থেকে পানি কমলেও বাড়ির চারপাশে এখনও পানি রয়েছে। তাই অন্যের আশ্রয়ে আছি। শয়নকক্ষের একপাশে গবাদিপশু আর অন্যপাশে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে কষ্ট করেই রাত্রিযাপন করছি আমরা। সরকারি কোনো ত্রাণ এখনও পাইনি আমরা।'

স্থানীয় ইউপি সদস্য রনধীর কান্ত দাস নান্টু বলেন, 'আমাদের ওয়ার্ডের তিনটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ৫০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে ধীরে ধীরে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় কেউ কেউ বসতবাড়িতে ফিরেছেন। বন্যায় কাঁচা ঘরবাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই পবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। দুর্গতরা এখনও সরকারি ত্রাণ পাননি। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।'

কলকলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাসিম বলেন, 'আমাদের ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার ২শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গতদের তালিকা প্রস্তুত করছি আমরা।'

জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, 'বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।'

 

এএ/আরআর-০২