বানিয়াচংয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, সাংসদের ক্ষোভ

বানিয়াচং সংবাদদাতা


জুলাই ১৩, ২০২০
০৭:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৩, ২০২০
০৭:৩৪ অপরাহ্ন



বানিয়াচংয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, সাংসদের ক্ষোভ

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় চরমভাবে জুয়া ও মাদক সেবন, মাদক উৎপাদন ও বিক্রয় বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বানিয়াচং উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বানিয়াচং থানায় কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ফাঁড়ির ইনচার্জদের অভিযুক্ত করা হয়।

আজ সোমবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১টায় বানিয়াচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (বেসরকারি সদস্যদের বিল ও বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কিত) সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।

সংসদ সদস্য বক্তব্য প্রদানকালে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিগত দশ বছরের মধ্যে বর্তমান সময়ে বানিয়াচং উপজেলার আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। এটা বরদাশত করা হবে না।

মার্কুলী পুলিশ ফাঁড়ি, খাগাউড়া পুলিশ ফাঁড়ি, সুজাতপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও বিথংগল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জগণ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জুয়া, মাদক ব্যবসা উচ্ছেদ না করে নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে এসআই ধ্রুবেশ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।

এ সময় উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ তাদের বক্তব্যে জানান, বিথঙ্গল গ্রামের জনৈক বাবুল মিয়া ও তার ভাই উসমান মিয়াকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের অপরাধ হলো তাদের বাপ-চাচা চারজন যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামি মধু মিয়ার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিয়েছেন। আর এই অপরাধে যুদ্ধাপরাধী মধু মিয়া তালুকদারের লোকজনের ইন্ধনে ফাঁড়ির ইনচার্জ তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মামলা দিচ্ছেন।

এছাড়া খাগাউড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিটন দাসের বিরুদ্ধে জুয়ার বোর্ড বসানোর অভিযোগ তোলা হয়। মাকুর্লী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাদক ব্যবসায়ীদের ধরেও বিনা মামলায় ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। গ্রাম্য দাঙ্গায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় নিরীহ নিরপরাধ লোকজনকে আসামি করার অভিযোগও তোলা হয়েছে।

সভায় বক্তব্য দেন, বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তজিম্মুল হক চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন ও হাসিনা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ওয়ারিশ উদ্দিন খান, হাবিবুর রহমান, রেখাছ মিয়া, লুৎফুর রহমান, এরশাদ আলী, হাবিবুর রহমান, শাহ শওকত আরেফীন সেলিম, আনোয়ার হোসেন, জয়কুমার দাশ, আহাদ মিয়া, আব্দুল কুদ্দুস শামীম, শামছুল হক, মোতাহের হোসেন, ফজলুর রহমান প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি, ইউএইচও আবুল হাদী মো. শাহপরান, প্রকল্প কর্মকর্তা মলয় দাস, খাদ্য কর্মকর্তা খবির উদ্দিন, মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলম, অধ্যক্ষ স্বপন দাস, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ইসমত কামাল, কাজল চ্যাটার্জী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

এসডি/আরআর-০৫