সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ১৫, ২০২০
১০:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২০
১০:২৯ অপরাহ্ন
সাহেদকে চতুর, ধুরন্ধর ও অর্থলিপ্সু হিসেবে আখ্যা দিলেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, সাহেদ নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করলেও মূলত তিনি একজন চতুর, ধুরন্ধর এবং অর্থলিপ্সু।
আজ বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টায় সাহেদকে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
র্যাব ডিজি বলেন,গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাসুদ পারভেজের দেওয়া তথ্যে রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব প্রধান বলেন, সাহেদ একজন ধূর্ত প্রকৃতির প্রতারক। যখন আমরা তার জাল-জালিয়াতি জানতে পারি, এরপর থেকেই তিনি বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান, এক নিকটাত্মীয় এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় ছদ্মবেশে ঘোরাফেরা করেন। তবে আমরা তার বিষয়ে ব্যাপক নজরদারি অব্যাহত রাখি। এই সময় তিনি নিজের গাড়ি ব্যবহার না করে, পায়ে কিংবা গণপরিবহনে যাতায়াত করেছেন। তবে সাতক্ষীরায় কীভাবে গেলেন তা এখনও জানা যায়নি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সাহেদকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারাই তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে কার কার সম্পর্ক এসব বিষয়ে কেউ কোনো সুবিধা নিয়েছেন কি-না, তা তদন্ত কর্মকর্তারাই বের করবেন।
প্রভাবশালীদের সঙ্গে সাহেদের ছবি ছিল, এক্ষেত্রে কোনো প্রভাবশালীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সাহেদ ছিলেন কি-না? এমন প্রশ্নে ডিজি বলেন, না আমরা এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো প্রভাবশালীর সংশ্লিষ্টতা পাইনি। প্রভাবশালীদের সঙ্গে ছবি তুলে নিজের প্রতারণার কজে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন। সাহেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা টেস্টের নামে ভুয়া পজিটিভ সার্টিফিকেট দেওয়া, রোগী আটকে রেখে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
সাহেদের কার্যালয়ে অভিযানের বিষয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, উত্তরায় সাহেদের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকার নোট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ব্রিফকেসসহ আরও কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরসি-০২