নবীগঞ্জে মসজিদ নিয়ে ষড়যন্ত্র, ইমামের উপর হামলা

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ২০, ২০২০
০২:৩৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২০, ২০২০
০২:৩৫ পূর্বাহ্ন



নবীগঞ্জে মসজিদ নিয়ে ষড়যন্ত্র, ইমামের উপর হামলা

নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের হাজী দরছ আলী জামে মসজিদ নিয়ে ওই গ্রামের কতিপয় লোকের নানান ষডযন্ত্রের কারণে ওই মসজিদের ইমামের উপর হামলার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। 

এ ব্যপারে মসজিদের মোতাওয়াল্লী মো. মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (১) এর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানাযায়, মামলার বাদি মো. মুজিবুর রহমানের চাচা হাজী দরছ আলী ১৯৯৬ইং সালে এনাতাবাদ গ্রামে হাজী দরছ আলী জামে মসজিদ নামে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। তার ভাতিজা হাফেজ আব্দুল ওয়ারিশকে মসজিদ স্থাপনের পর থেকে ইমামতি করার দায়িত্ব দিয়ে তিনি নিজেই মসজিদ পরিচালনা করেন। তিনি ১৯৯৯ইং সালে হজ পালনের সময় সৌদি আরবে মৃত্যু বরণ করেন। তার মৃত্যুর পর একমাত্র ভাই মো. আলাউদ্দিন মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। সে সময়ও হাফেজ আব্দুল ওয়ারিশ ইমামের দায়িত্ব পালন করেন। মো. আলাউদ্দিন মারা যাবার পর তার ছেলে মো. মুজিবুর রহমান মসজিদের মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হন। সম্প্রতি মোতাওয়াল্লীর অজ্ঞাতে মসজিদের প্রতিষ্টালগ্ন থেকে প্রায় ২৩ বছর ইমামের দায়িত্বে থাকা হাফিজ আব্দুল ওয়ারিশকে মো. আবুল কাশেম মাসুকের পক্ষের লোকজন জোরপূর্বক মসজিদ থেকে বের করে দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা সংঘঠিত হয়। যা নিয়ে উভয় পক্ষে মামলা মোকদ্দমা হয়। 

এ নিয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মাসুকের মামলায় আব্দুর রহিমের পক্ষের লোকজন  আদালতে হাজির হলে বাদি আবুল কাশেম মাসুক আদালতে হাজির থাকলেও মামলার শুনানীর সময় আদালতের বারান্দা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে বাদির উপস্থিতিতে শুনানীর জন্য ১৬ জুলাই আসামী পক্ষের আইনজীবি আদালতে একটি আবেদন করেছেন। মসজিদের ইমামের উপর হামলা ও মসজিদ থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে এনাতাবাদ গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এএম/বিএ-০১