আলী আহমদ, জগন্নাথপুর
জুলাই ২০, ২০২০
০৬:০০ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ২০, ২০২০
০৬:০০ অপরাহ্ন
আব্দুল আজিজ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক। সাম্প্রতিক বন্যায় তার গোয়াল ঘর তলিয়ে যায়।
রবিবার (১৯ জুলাই) জগন্নাথপুর পৌরশহরের হেলিপ্যাড এলাকায় কোরবানির পশুর হাটে কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি বলেন, বন্যার কারণে গবাদিপশু নিয়ে বেকায়দায় আছি। তাই বাধ্য হয়েই কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করতে এনেছি।
শুধু আবদুল আজিজ নয় কোরবানির পশুর হাটে অধিকাংশ বিক্রেতা কৃষক। বন্যার কারণে কোরবানির হাটে হাটে ঘরের গরু বিক্রির জন্য যাচ্ছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি গরুতে বাজার ভরপুর। বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার ঢল। ক্রেতা বিক্রেতার সঙ্গে আলাপ করে জানাযায়, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতার ঢল থাকলেও ক্রয় বিক্রয় জমে উঠেনি।
জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা বিক্রেতা নূর মিয়া বলেন, করোনা সংক্রমণ ও বন্যা পরিস্থিতিতে কৃষকরা ভালো নেই। তাই ঈদকে সামনে রেখে কৃষকরা গবাদিপশুগুলো কোরবানির পশুর হাটে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
হাওরপাড়ের কৃষকরা জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়নের মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে গবাদিপশু নিয়ে বেকায়দায় পড়েন। ফলে বাধ্য হয়ে কৃষকদের গবাদিপশু কোরবানির হাটে বিক্রি হচ্ছে।
হাওর ঘেরা চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ মিয়া বলেন, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। পানিবন্দি মানুষ ঘরের গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। যে কারণে গবাদিপশু কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। কোরবানির হাটে কৃষকদের ঘরের গরুই বেশি।
জগন্নাথপুর পৌরশহরের পশুর হাটের ইজারাদার শাহানুল হক বলেন, কোরবানির পশুর হাটে এবার বাহিরের কোন গরু নেই। স্থনীয় কৃষকদের গরুই বেশি।
এএ/বিএ-০৭