পাপুল দ্বৈত নাগরিক কিনা জানতে চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ২২, ২০২০
০৭:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২২, ২০২০
০৭:৫৬ অপরাহ্ন



পাপুল দ্বৈত নাগরিক কিনা জানতে চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আইনি নোটিশ

ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার, কুয়েতের বিতর্কিত ব্যবসায়ী, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে কিনা তা জানাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য গণমাধ্যম মারফত জাতিকে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে বুধবার (২২ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, ‘কুয়েতের ব্যবসায়ী বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল গ্রেপ্তার হয়ে সে দেশের কারাগারে আছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে কুয়েতের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘পাপুল একজন বাংলাদেশি নাগরিক হয়ে কীভাবে বহির্বিশ্বে শত শত কোটি টাকার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালিত করছেন তা নিয়ে মানুষের মাঝে কৌতূহল রয়েছে। তিনি কুয়েতের নাগরিক কিনা এই বিষয়েও সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। কেননা দ্বৈত নাগরিক হলে বাংলাদেশের সংবিধান ও নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বৈধ সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকে কিনা সে বিষয়েও জনগণের মনে প্রশ্ন রয়েছে।’

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে পাপুল দ্বৈত নাগরিক কিনা তা জানাতে নোটিশে অনুরোধ জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে সংসদ সদস্য পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও সহায়তা করেছেন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে। এখন পর্যন্ত তদন্তে বের হয়ে এসেছে পাপুল প্রতি বছর বিভিন্ন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতেন। এছাড়া পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর। বিদেশের মাটিতে একজন সংসদ সদস্য আটকের ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।

বিএ-১৫