মাধবপুর কামারপল্লী, হতাশায় দিন কাটছে ব্যাবসায়ী ও কারিগরদের

মাধবপুর প্রতিনিধি


জুলাই ২৫, ২০২০
০৭:০৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৫, ২০২০
০৭:০৪ অপরাহ্ন



মাধবপুর কামারপল্লী, হতাশায় দিন কাটছে ব্যাবসায়ী ও কারিগরদের

ভোর থেকেই শুরু হত টুংটাং, কোলাহল। আর দা, বটি, ছুরি তৈরীর ঝনঝনাঝন শব্দে মুখর হয়ে উঠত কামারপল্লী। এবার আর সে দৃশ্য নেই মাধবপুরের কামারপল্লীগুলোতে। সবকিছুতেই নেমে এসছে যেন রাজ্যের নিরবতা। আর তাই হতাশা নিয়ে দিন পার করছেন মাধবপুরের কামারপল্লীর ব্যবসায়ী ও কারিগররা। 

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা পালিত হবে। এসময়ে যখন সবচেয়ে ব্যস্ত থাকার কথা এসব ব্যবসায়ী ও কারিগরদের। তখন প্রায় অলস সময় পার করছেন তারা। কামারপাড়ায় কোরবানির আনুসঙ্গিক হাতিয়ার দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো জিনিস তৈরির নেই তেমন ব্যস্ততা। প্রতি বছর কোরবানীর ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাজের ব্যস্ততা বাড়লেও এবার মাধবপুর উপজেলার কামারপল্লীতে নেই তেমন ব্যস্ততা। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কামারপাড়ার ব্যবসায়ী ও কর্মকাররা।

ব্যবসায়ী লক্ষণ কর্মকার বলেন, প্রতি বছর ঈদের ১৫ দিন আগে বেচা কেনার কারণে খাওয়ার সময় পাওয়া যায় না, আর এ বছর বসে বসে সময় পার করছি। আগের বছর গুলোতে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত কেনা বেচা করতাম, এখন কোন কেনা বেচা নেই। পেপার পড়ে মোবাইল দেখে সময় কাটাই।

উপজেলার জগদীশপুর বাজারের বিবিষণ কর্মকার বলেন, সারা বছর আমাদের হাতে তেমন কাজ থাকে না, ঈদ আসলে ভালোই কাজ করতাম, এ বছর তো আমাদের নাজেহাল অবস্থা একদম কাজ নেই বসে বসে সময় পার করছি।

বিশ্ব জুড়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে থমকে আছে দেশ। সামান্য কিছু নতুন চাপাতি, ছুরি তৈরির থেকে বেশিরিভাগ পুরনো অস্ত্রে শান দেওয়ার কাজ চলছে মাধবপুর উপজেলার কামারপল্লীগুলোতে। মাধবপুর উপজেলার হাটসহ ছোট-বড় সব হাটের কামারেরা  মানবেতার জীবনযাপন করছেন।

এসএমআর/বিএ-০২