হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের অবশিষ্ট বিল প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ২৭, ২০২০
০৮:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৭, ২০২০
০৮:২৬ অপরাহ্ন



হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের অবশিষ্ট বিল প্রদানের দাবিতে মানববন্ধন

সুনামগঞ্জে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকারী পিআইসি'র (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) লোকজন অবশিষ্ট বিল প্রদানের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন। বকেয়া বিল প্রদানের দাবিতে তারা জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

আজ সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুরে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে ১১টি উপজেলার পিআইসি'র অন্তত দুই শতাধিক সদস্য অংশ নেন।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সুনামগঞ্জে কাবিটা নীতিমালার আওতায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে ৭৪৫টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ১৩২ কোটি টাকার প্রাক্কলণ করা হলেও চূড়ান্ত প্রাক্কলণে ১০২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জেলা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ মনিটরিং কমিটি গড়ে ৭৮ ভাগ কাজ হয়েছে বলে প্রতিবেদন দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১০২ কোটি টাকার মধ্যে ৮০ কোটি টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে প্রদান করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রাক্কলণ অনুযায়ী তাদের বকেয়া বিল এখনও রয়ে গেছে বলে জানিয়েছ পাউবো।

বৃষ্টির দিনে মানববন্ধনে অংশ নিতে ১১টি উপজেলার পিআইসি'র লোকজন ব্যানার নিয়ে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। তারা মানববন্ধনে বলেন, সুদে ঋণ এনে, ধার-দেনা করে তারা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছিলেন। জেলা কাবিটা মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির নীতিমালা অনুযায়ী তারা কাজ শেষও করেছিলেন। ইতোমধ্যে হাওরের সম্পূর্ণ বোরো ফসল গোলায় উঠলেও তারা এখনও কাজ অনুযায়ী বিল পাননি। তাই অবিলম্বে বকেয়া বিল প্রদান করে তাদেরকে ঋণমুক্ত করার দাবি জানান পিআইসি'র সংশ্লিষ্টরা। মানববন্ধনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে বক্তব্য দেন আব্বাস মিয়া, শাহাব উদ্দিন, মোজাহিদ মিয়া প্রমুখ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, '১০২ কোটি টাকার মধ্যে আমরা পিআইসিকে ৮০ কোটি টাকা বিল দিয়েছি। এখনও তাদের অবশিষ্ট পাওনা রয়ে গেছে। মন্ত্রণালয় টাকা ছাড় না দেওয়ায় আমরা তাদের বকেয়া বিল প্রদান করতে পারছি না।'

উল্লেখ্য, হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মানকালে নীতিমালা অনুযায়ী কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছিল হাওর বাঁচাও আন্দোলন। এ নিয়ে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচিও পালিত হয়েছিল।

 

এসএস/আরআর-০৬