আরও দুই বোমা উদ্ধার, পুলিশ বলছে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ২৯, ২০২০
০৪:২১ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২০
০৪:২২ অপরাহ্ন



আরও দুই বোমা উদ্ধার, পুলিশ বলছে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই

রাজধানীর পল্লবী থানা থেকে ওজন মাপার মেশিন সাদৃশ্য বস্তু থেকে আরও দুইটি অবিস্ফোরিত এক্সপ্লোসিভ (বোমা জাতীয়) উদ্ধার করেছে ডিএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট। তবে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে এখন পর্যন্ত ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের কোনও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তারা স্থানীয় ক্রিমিনাল গ্রুপের সদস্য।

আজ বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পল্লবী থানা ভবন পরিদর্শনের পর গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এসব বলেন।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আধাঘণ্টার মধ্যে দুটি শব্দ হয়েছে আপনারা শুনেছেন। আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এক্সপার্টরা ডিভাইসগুলো স্টাডি করার পরে এক্সপ্লোসিভ সমৃদ্ধ দুটি ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করেছে।

তিনি বলেন, যে সন্ত্রাসীদের কাছে থেকে এই এক্সপ্লোসিভ পাওয়া গেছে। তাদের একটি অপরাধ করার পরিকল্পনা ছিল। সে অপরাধ হতে পারে কাউকে খুন করা, কোনো সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ বা ডাকাতি ধরনের অপরাধ বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এক্সপ্লোসিভগুলো কতটা শক্তিশালী ছিল এটা আরেকটু সময় নিয়ে আমরা বলতে পারবো।

ঘটনা সম্পর্কে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, পল্লবী থানা পুলিশ ও মিরপুরের ডিবির নেতৃত্বে একটা টিম কাজ করছিল কয়েকদিন ধরে। এ অঞ্চলে মাঝে মাঝে ক্রাইম হয় নানা ধরনের। একটি গ্রুপ ক্রাইম করতে পারে বা ক্রাইম হতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত রাত ২টার দিকে কালশী কবরস্থানের দিকে পুলিশের একটি টিম যায়। সেখানে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ সমবেত হয়ে ক্রাইম করার পরিকল্পনা করছে- এমন খবরে পল্লবী থানা পুলিশ সেখানে অপারেশনে গিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ও মোশারফ।

কৃষ্ণপদ রায় আরও বলেন, সেখানে আরও কয়েকজন ছিল যারা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয় যেটি ওয়েট মেশিনের মতো।

যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা এক্সপ্লোসিভগুলো দিয়ে কী করতে চেয়েছিল জানতে চাইলে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, তারা একটি অপরাধ করার পরিকল্পনা করছিল। সেটা হতে পারে কাউকে খুন করার জন্য বা কোনো সম্পত্তি দখল সংক্রান্ত বা ডাকাতি করার জন্য। আমরা তদন্তের সন্তোষজনক পর্যায়ে এলে এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবো। নিজেদের নিরাপদ রাখার জন্য বা পুলিশ থেকে রক্ষার জন্য তারা এক্সপ্লোসিভগুলো ব্যবহার করে থাকতে পারে।

সামনে আগস্ট মাস এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে আপনাদের প্রস্তুতি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া আছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে যে সর্তকতা জারি করা হয়েছে সেটার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো কানেকশন নাই। এটা কোনো রেড অ্যালার্টের অংশ নয়।

সম্প্রতি দেশজুড়ে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় পুলিশ সদর দফতর থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। সেখানে পুলিশকে টার্গেট করে বা পুলিশ স্থাপনায় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড, নাশকতা ও ধ্বংসাত্মকমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আদলে গঠিত নব্য জেএমবির সদস্যরা।

 

বিএ/১০