আলী আহমদ, জগন্নাথপুর
জুলাই ৩০, ২০২০
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ৩০, ২০২০
০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরশহরে হেলিপ্যাড এলাকায় আজ বুধবার শেষদিনের কোরবানির হাট বসেছিল। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঢল পরিলক্ষিত হলেও কেনাবেচা কম ছিল।
সরেজমিনে ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, মুসলমানদের অন্যতম ত্যাগের ঈদ পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী শনিবার (১ আগস্ট) উদযাপিত হবে। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ঈদের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঢল নামে। তবে এ বছর পশু ক্রয়-বিক্রয় আশানুরূপ জমেনি। অনেকেই বলছেন টানা বন্যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। কেউ কেউ বলছেন শহরের শেষদিনের পশুর হাটে দাম একটু চড়া ছিল। তবে বিক্রেতাদের দাবি, মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী ন্যায্য দামেই পশু বিক্রি হচ্ছে।
সিরাজুল ইসলামের নামের এক ক্রেতা জানান, কোরবানির গরু ক্রয় করতে সকালে তিনি হাটে এসেছেন। দুপুর পর্যন্ত ঘুরেও চাহিদা অনুযায়ী পশু পাননি। দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। তবে বিকেলের দিকে ন্যায্য দামে কোরবানির পশু কিনতে পারব বলে মনে হচ্ছে। যে কারণে হাটে ঘুরে যাচাই-বাছাই করছি।
কিশোরগঞ্জ থেকে ৫০টি গরু নিয়ে হাটে এসেছিলেন ব্যাপারি সুলতান মিয়া। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমরা জগন্নাথপুরে এসেছি। অন্যবছরের তুলনায় দাম এবার কম। হাটে ক্রেতাদের ঢল থাকলেও বেচাবিক্রি কম। লোকজন দাম যাচাই-বাছাইয়ে ব্যস্ত।
এদিকে হাটে দেখা যায়, কেউই স্বাস্থ্যবিধি আইন মানছেন না। মাস্ক ছাড়াই হাটে ঘুরছেন অবাধে। হাটের ইজারাদার ইকবাল হোসেন ভূইয়া বলেন, ধীরে ধীরে হাট জমে উঠেছে। আমরা মাইকে বার বার লোকজনকে আহবান জানিয়ে আসছি, মাস্ক ব্যবহার করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার জন্য।
জগন্নাথপুরের নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা হাটে গিয়ে মাইকিং করে প্রচার করছি যে মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করা হবে।
এএ/আরআর-০২