জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
আগস্ট ০২, ২০২০
০১:০৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০২, ২০২০
০১:০৬ পূর্বাহ্ন
গত বছর জগন্নাথপুরে সংগ্রহ করা চামড়া মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। ফাইল ছবি।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদরাসা এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে করেনি। গত কোরবানির ঈদে চামড়া বেচতে না পেরে এই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ৯০০ পশুর চামড়া মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ওই এলাকার কোনো মাদ্রাসার পক্ষে এই ঈদে চামড়া সংগ্রহ করা হয়নি। ফলে এসব এলাকার কোরবানিদাতারা চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, প্রবাসী অধ্যুষিত এ উপজেলায় যুগযুগ ধরে প্রতিবছর কোরবানির পশুর চামড়া স্থানীয় কোরবানিদাতারা এলাকার মাদরাসা ও মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে স্বেচ্ছায় দান করে আসছিলেন। গত বছরের ঈদুল আজহার কোরবানির চামড়া বেচতে না পেরে সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সংগ্রহকৃত ৯০০ পশুর চামড়া মাদরাসার নিকটস্থ এলাকায় মাটিতে পুঁতে দেন। এবার ঈদের আগেই মাদরাসাগুলো চামড়া সংগ্রহ না করার কথা এলাকাবাসীবে জানিয়ে দেয়। এজন্যে চামড়া নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন কোরবানিদাতারা। চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা না হলে কোরবানির চামড়া মাটিতে পুঁতে দিতে পারেন অথবা বন্যার পানিতে ফেলে দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে করে মারাত্মক পরিবেশ দুষণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সৈয়দপুর হোসাইনিয়া হাফিজিয়া আরবিয়া মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গতবছর কোনবানিদাতাদের কাছ থেকে পশুর ৯০০ চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল। দিনভর অপেক্ষা করেও কেউ চামড়া কিনতে আসেননি। বাধ্য হয়ে আমরা সেই চামড়া মাটিতে পুঁতে দেই। এতে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হই। এবারও চামড়ার ক্রেতা নেই। ফলে আমরা চামড়া সংগ্রহ করিনি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, ‘কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের জন্য আমরা আগেই প্রচারণা চালিয়েছি। সৈয়দপুর এলাকায় একটি স্থানে চামড়াগুলো সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে চামড়া সিলেট নগরের চামড়া ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’
এএ/এনপি-১৪