সিরিজ বোমা হামলা, ১৫ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি ৪৭ মামলা

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১৭, ২০২০
০৬:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২০
১০:১৩ অপরাহ্ন



সিরিজ বোমা হামলা, ১৫ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি ৪৭ মামলা

মুন্সিগঞ্জ ছাড়া দেশের ৬৩ জেলায় সংঘটিত সিরিজ বোমা হামলার ১৫ বছর আজ। ১৫ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি এ হামলার ৪৭ মামলা। অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই জামিনে বের হয়ে আবারও জঙ্গি কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যদিও এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে। 

তারা বলছেন, মামলার চাপ ও সাক্ষী হাজিরে দেরির কারণে নিষ্পত্তিতে ধীরগতি। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা কৌশলে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করলেও বড় হামলার সক্ষমতা হারিয়েছে তারা। 

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট। ১৫ বছর আগের এই দিনে রাজধানীর ৩৪ স্থানসহ দেশের ৬৩ জেলায় ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ৫০২টি স্পটে একযোগে বোমা হামলা করে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবি। এ হামলায় নিহত হন ২জন। আহত হন বহু মানুষ। মূলত নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার এ হামলায় অনেকটাই সফল হয় তারা।

'সাউন্ড ব্লাস্ট' নামে পরিচিত সিরিজ বোমলা হামলায় ১৫৯টি মামলা হয়। বিচার শেষ হয়েছে ৯৬টির।। এসব মামলায় ৩২৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৯ জনের ফাঁসির রায় হয়। ফাঁসি কার্যকর হয়েছে শীর্ষ ছয়জঙ্গির। পলাতক এখনও ২১ জন। আর দেশের আদালতে ঝুলছে আরো ৪৭টি মামলা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষী হাজিরে গড়িমসি কারণে নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইডি সোহেল রানা বলেন, ইতোমধ্যে বেশিরভাগ মামলার ট্রায়াল সম্পন্নও হয়েছে। কিছু মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।

পাবলিক প্রসিকিউটার অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আবু বলেন, কিছু মামলা এখনও পেন্ডিংয়ের পর্যায়ে যেগুলো সাক্ষীর পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়াও পুরাতন মামলার সাক্ষী হয়ে গেছে।

১৭ আগস্টের পর একের পর এক জঙ্গি হামলায় নিহত হন আরও ৩৩ জন। আহত হন চারশতাধিক। সিরিজ বোমা হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে পুরাতন ও নব্য জেএমবির অর্ধশতাধিক সদস্য নিহত হন। কারাগারে আছেন ৫ শতাধিক। এরপরও বিভিন্ন সময়ে আনসার আল ইসলাম, হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ সদস্যরা তাদের অবস্থান জানান দেয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১৬ সালে সামনে আসে নব্য জেএমবি।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, তাদের বড় হামলার সক্ষমতা নেই। তবে দেশের বাইরে থেকে জঙ্গিদের কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনালের আবদুর রশিদ বলেন, তাদের সক্ষমতার মাত্রা বেড়েছে বলে আমার মনে হয় না। তবে, তাদের নতুন কোন পৃষ্ঠপোষক বেড়েছে কি-না সেটা ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। কেননা পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জঙ্গি তৎপরতা বাড়তে পারে।

অভিযোগ রয়েছে, এরইমধ্যে শতাধিক জঙ্গি জামিনে বের হয়ে আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও পুলিশ বলছে, তাদের রাখা হয়েছে নজরদারিতে।

বিএ-০৭