জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
আগস্ট ১৮, ২০২০
১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০২০
১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়ন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় রত্না নদীতে ভাসমান ফেরি উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরিটি চালু করা হয়। এর ফলে ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেছে।
ফেরি উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সমাজসেবক ইসলাম উদ্দিন, মানিক মিয়া, মো. কায়িদ মিয়া, মো. শাহজাহান মিয়া, কয়ছর রশীদ, মো. আলিম উদ্দিন, কবির হোসেন, সংগঠনের সদস্য আব্দুল কাদির, মশিউর মধু, হেলিম উদ্দিন, আনহার মিয়া, মারুফ জামান, কাদির মিয়া, আক্তার হোসেনসহ স্থানীয়রা।
জানা যায়, পাইলগাঁও ইউনিয়নের রত্না নদীতে পারাপারের সুবিধা না থাকায় অনেক বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন ইউনিয়নের ঐয়ারদাস, সাতাল, মুকন্দপুর, তেরাউতিয়া, মাখরকোনা ও দয়ালনগর গ্রামের জনসাধারণ। এই ছয় গ্রামের লোকজন ওই নদী দিয়ে প্রতিনিয়ত উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের পাশাপাশি ইউনিয়নের সঙ্গে যাতায়াত করে আসছেন। নদীতে পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা দুর্ভোগে ছিলেন। এমতাবস্থায় স্থানীয় সংগঠন পাইলগাঁও ইউনিয়ন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে এবং এলাকার যুক্তরাজ্য প্রবাসী কুতুব উদ্দিন জুয়েল, ইউসুফ মিয়া, কাদির মিয়া ও সাজ্জাদ হোসেনের অর্থায়নে ঐয়ারদাস এলাকায় রত্না নদীতে পারাপারের সুবিধার্থে ভাসমান ফেরি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ফেরিটি তৈরি করা হয়েছে। সোমবার থেকে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর অনেকদিনের ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয় যুবনেতা কয়ছর রশিদ জানান, সামাজিক সংগঠন পাইলগাঁও ইউনিয়ন ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে ভাসমান ফেরি চালু হয়েছে। এটি এলাকার জন্য খুবই আনন্দের খবর। কারণ এতে দীর্ঘদিনের নদী পারাপারের ভোগান্তি লাঘব হবে।
পাইলগাঁও ছাত্র কল্যাণ পরিষদের আব্দুল কাদির ও মশিউর মধু জানান, নদীতে পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমরা ফেরি চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করি। এতে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন প্রবাসী এবং স্থানীয়রা। ফেরিটি রশি দিয়ে টেনে পারাপার করার সুবিধা রয়েছে। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে তাদের এই প্রচেষ্টা।
তারা জানান, সংগঠনটি তরুণ ও যুবকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর সদস্যরা আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করছেন।
পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া বলেন, উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এএ/আরআর-০৬