সুন্দর মানুষের বীভৎস মৃত্যু সহ্য করা যায় না

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২৪, ২০২০
০৮:৩৯ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২০
০৮:৩৯ অপরাহ্ন



সুন্দর মানুষের বীভৎস মৃত্যু সহ্য করা যায় না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রত্যেক আন্দোলনে সংগ্রামে মাঠে থাকতেন আইভি রহমান। মিটিংয়ে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে বসতেন। কোনো অহমিকা ছিল না। কিন্তু এতো সুন্দর একটা মানুষের এরকম বীভৎস মৃত্যু যেটা সত্যি সহ্য করা যায় না।

সোমবার (২৪ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে আইভি রহমানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

এদিকে সকালে বনানী করবস্থানে শহীদ আইভি রহমানের ১৬তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে তার শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহিলা আওয়ামী লীগেরও নেতা ছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমান। ছাত্রজীবন থেকেই উনি রাজনীতির সঙ্গে সঙ্গে জড়িত। আমরা একসাথে অনেক রাজনীতি করেছি। খুব আহত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিএমএইচে এবং ২৪ তারিখে তাকে মৃত ডিক্লেয়ার করে। আজকে তার মৃত্যুদিবস পালন করি।’

প্রধানমন্ত্রী সভার শুরুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং ২১ শে গ্রেনেড হামলায় ২২জন নেতাকর্মী মারা যায় তাদের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘তার মধ্যে চারজন মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মারা যায়। আর দুইজন অজ্ঞাতনামা ছিল। তাদের লাশও কেউ নিতে আসেনি। ধারণা করা হয়, এই অজ্ঞাতনামারা হয়ত যারা আক্রমণকারী হতে পারে, কিছু জানি না! কিন্তু আমরা তখন আমাদের ২২জন নেতাকর্মী হারিয়েছি এবং তখন প্রায় ছয় সাতশ নেতাকর্মী আহত হয়। অনেকে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে পরে আবার অনেকেই আবার মারা গেছে। কারণ শরীরের ভিতরে অনেক স্প্লিন্টার সেই অবস্থায় এখনো অনেকেই ওভাবে বেঁচে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের কথাটা আমি স্মরণ করছি। বিশেষ করে আইভী রহমানের কথা। প্রত্যেক আন্দোলনে সংগ্রামে মাঠে থাকতেন উনি, একদম মানুষের সঙ্গে এবং মিটিংয়ে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে বসতেন। কোনো অহমিকা ছিল না। কিন্তু এতো সুন্দর একটা মানুষের এ রকম বীভৎস মৃত্যু যেটা সত্যি সহ্য করা যায় না।’

নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবার পরিজনের প্রতি সহমর্মিতা জানান তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমান গুরুতর আহত হন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চারদিন পর ২৪ আগস্ট তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বিএ-১১