হবিগঞ্জে ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি


আগস্ট ২৭, ২০২০
১০:১২ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৭, ২০২০
১০:১২ অপরাহ্ন



হবিগঞ্জে ছাত্রদল সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ইমদাদুল হক ইমরান

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বার বার টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে নিরুপায় হয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল।

ব্যবসায়ী রুমেল হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল সংলগ্ন আল আমিন ফার্মেসির সত্ত্বাধিকারী। জেলা ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়ায় হবিগঞ্জ শহরসহ সর্বত্র শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরান প্রতারক প্রকৃতির লোক। তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ করে আসছেন। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইমদাদুল হক ইমরান পূর্বপরিচয় থাকার সুবাদে তেতৈয়া এলাকায় একটি বালুমহালে ব্যবসার সঙ্গে ব্যবসায়ী রুমেলকে সম্পৃক্ত করার প্রলোভন দেখান। আর তার বিনিময়ে তিনি রুমেলের কাছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এতে রাজি হয়ে ওইদিনই ব্যবসায়ী রুমেল তাকে ৭৫ হাজার টাকা দেন। পরবর্তীতে একই বছরের ২ মার্চ অবশিষ্ট ৫০ হাজার টাকা নেন ইমরান।

কিন্তু টাকা দেওয়ার পর প্রায় মাসখানেক সময় পেরিয়ে গেলেও ইমরান ওই ব্যবসায়ীকে তার বালু ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেননি। পরে ওই ব্যবসায়ী তার টাকা ফেরত চাইলে খামখেয়ালীপনা করে কালক্ষেপণ করতে থাকেন ইমরান। এরপর বার বার টাকা চাইলেও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করেন ও বর্তমানে ওই ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এমনকি তাকে প্রাণে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল বলেন, 'আমি একজন নিরীহ লোক। সরল বিশ্বাসে ব্যবসার জন্য জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু সে ব্যবসা তো দূরের কথা, এখন আমার আসল টাকাই ফেরত দিচ্ছে না। উল্টো সে নিজেকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বলে তার দলের কর্মীদের দিয়ে আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।'

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, 'টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

এসআর/আরআর-০৯