হবিগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি


আগস্ট ২৮, ২০২০
০৮:৪৪ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০২০
০৮:৪৪ অপরাহ্ন



হবিগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ

অভিযুক্ত এসআই মো. শাহ্ আলী

হবিগঞ্জের বাহুবল থানা থেকে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে আসা চোখ বাঁধা দুই ব্যক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক সমকাল বার্তার সিলেট ব্যুরো প্রধান ও দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এ কে কাওসারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন বাহুবল থানার এসআই মো. শাহ্ আলী। এ সময় তিনি সাংবাদিক কাওসারের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যান। প্রায় আধা ঘন্টা পর তিনি মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন।

এ ঘটনায় দৈনিক সমকাল বার্তার প্রকাশক মো. আবদুল্লাহ চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, এমন ঘটনায় সমকাল পরিবার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছে। সমকালের ব্যুরো প্রধান এ কে কাওসার হাতকড়া পরিহিত, চোখ বাঁধা ও আহত দুই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য চাওয়ায় তার সঙ্গে বাহুবল থানার এসআই মো. শাহ্ আলী অশোভন আচরণ করেন। শুধু তাই নয়, ওই পুলিশ সদস্য একজন সাাংবাদিকের মানহানি করেছেন। পাশাপাশি তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি একটি দুঃখজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) ভোররাতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি রোগীর কাছে চোখ বাঁধা দুই ব্যক্তিকে নিয়ে আসে পুলিশ। এ সময় বিষয়টি সম্পর্কে জানতে সেখানে উপস্থিত হন দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এ কে কাওসার। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থাকা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সাদা পোশাকধারী এসআই মো. শাহ্ আলী সাংবাদিক পরিচয় পেয়েও এ কে কাওসারকে ধাক্কা মারেন। এ সময় পাশে দাঁড়ানো স্থানীয় লোকজন ও দুই পুলিশ সদস্য এ কে কাওসার সাংবাদিক বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এসআই শাহ আলী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিক কাওসারের হাত থেকে তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। প্রায় আধা ঘন্টা পর আবারও তিনি পুলিশ ভ্যানসহ হাসপাতালের সামনে ফিরে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সবুজ রানা নামের পুলিশ সদস্য মোবাইলটি কাওসারকে ফেরত দেন। কাওসারের দাবি, তার মোবাইল থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের তথ্য ও চিত্র মুছে দিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, 'চোখ বেঁধে দুই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আর সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণের বিষয়টি আমি দেখছি।'

 

এসডি/আরআর-০৪