সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০
০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০
০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে করোনা সংক্রামণের সময় ওষুধসহ সরঞ্জাম কেনা এবং চিকিৎসক-নার্সদের থাকা-খাওয়ার খরচ হিসেবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কমিশনের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের পরিচালকের কাছে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকে জমা হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সেহাব উদ্দিন রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য হোটেল কক্ষের ৩ হাজার টাকা ভাড়া ৬ হাজার টাকা নেন।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিভিন্ন হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্ন মানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয় ও সরবরাহ, চিকিৎসকদের হোটেলে থাকা-খাওয়ার নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতসহ অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষরে এক জরুরি পত্রে এসব রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
৯ আগস্ট করোনাকালে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের বেশকিছু নথিপত্র তলব করেছিল দুদক।
এর আগে ৩ আগস্ট দুদক হোটেল সুপার স্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মুগদা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালককে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা সরবরাহে নিযুক্ত চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য কর্মীদের আবাসন ও খাবারসহ বিভিন্ন তথ্য ও রেকর্ড জমা দিতে বলে।
বিএ-০৮