সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
০৬:২৪ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২০
০৬:২৪ অপরাহ্ন
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা উমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউএনওর গাড়ি চালক হাফিজ ও ইয়াসিন নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার পর তাদেরকে আটক করা হয়।
এর আগে গৃহকর্মী জবেদা ও আসোলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও তাদের মধ্যে জবেদাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ এবং আসোলাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইমাম জাফরের নেতৃত্বে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সহযোগী নবিরুল এবং সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনজনের কাছে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে ঘটনার নেপথ্যসহ সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র বের করার চেষ্টা করছেন তিনি।
এর আগে গত রবিবার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইমাম জাফর বলেন, ঘটনাটি চুরির বলে দাবি করা হলেও এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ৭ দিনের সময় পাওয়ায় ধীরস্থিরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।
এছাড়া প্রধান আসামি আসাদুলের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন, বাগানের মালি সুলতান কবির এবং (গ্রেপ্তার সেন্টুর নিকট আত্মীয়) আদ্দাল্লি (পিওন) শ্যামল কুমারকে শনিবার থেকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
তবে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার অথবা আটক দেখাননি তারা। তথ্য জানতে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আহত ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিএ-১৩