মৌলভীবাজারে কৃষক সংগ্রাম সমিতির স্মারকলিপি

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
১১:৩৭ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
১১:৩৭ অপরাহ্ন



মৌলভীবাজারে কৃষক সংগ্রাম সমিতির স্মারকলিপি

পাটের সর্বনিম্ন মূল্য মণ প্রতি ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ ও রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল চালুর দাবিতে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি মৌলভীবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা কমিটির আহবায়ক অবনী শর্ম্মা স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বরাবর পেশ করা হয়।

স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পাটজাত দ্রব্যের রপ্তানি প্রতি বছরই বাড়ছে। পাটের সম্ভাবনা বাড়ছে দেশে এবং সারা বিশ্বে। পাট এমন একটি পণ্য যার কোনো কিছুই ফেলনা নয়। পাটের পাতা, আঁশ, পাটখড়ি সবই কাজে লাগে। যে জমিতে পাট চাষ করা হয় তার উর্বরতা বৃদ্ধিসহ পরিবেশ রক্ষায় পাটের অবদান কম নয়। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে ২৩৫ ধরনের পাটপণ্যের এক প্রদর্শনী হয়েছিল। পাটকাঠি দিয়ে চারকোল উৎপাদন করলে তা জ্বালানি সমস্যা সমাধানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। চাল, গম, আটা, চিনিসহ ১৮টি পণ্যের মোড়ক ব্যবহারে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার আদেশ জারি হয়েছিল। ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং অ্যাক্ট ২০১০ বাস্তবায়ন হলে দেশের বাজারে পাটের বিপুল চাহিদার সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি করোনা পরবর্তী পরিবেশ সচেতনতার কারণে পাটের সম্ভাবনা বিশ্বব্যাপীই বাড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যে তৈরি হচ্ছে পাটের নতুন বাজার। গাড়ি ও বিমানের আভ্যন্তরিণ সাজ-সজ্জা এবং সৌন্দর্য বর্ধনে পাট দ্বারা তৈরি পণ্যের ব্যবহার হচ্ছে। বিএমডাব্লিউ, ভক্সওয়াগন, টয়োটা, নিশান গাড়ির বহু যন্ত্রাংশ তৈরিতেও পাটের ব্যবহার বাড়ছে।

ইউরোপের ২৮টি দেশে একযোগে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, সেখানে পাট হতে পারে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক বিকল্প। সুতা তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বাংলাদেশে ভিসকস ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ভিসকস তৈরি করা সম্ভব পাটের আঁশ থেকে।

পাট নিয়ে সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন, দুর্নীতি ও  লুটপাট বন্ধ, গবেষণাকাজে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ, পাট বীজের চাহিদা শতভাগ পূরণ করাসহ প্রয়োজনীয় ভূমিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এরকম অবস্থায় পাটের সর্বনিম্ন মূল্য মণপ্রতি ৩০০০ টাকা নির্ধারণ এবং রাষ্টায়ত্ব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পাটকলগুলি আধুনিকায়ন চালু করার মাধ্যমে শ্রমিক-কৃষক তথা জাতীয় স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

আরসি-০২