চৌর্যবৃত্তি প্রমাণিত, সামিয়া রহমান ও মারজানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন



চৌর্যবৃত্তি প্রমাণিত, সামিয়া রহমান ও মারজানের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল

চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে প্রবন্ধ প্রকাশ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান (ক্রিমিনোলজি) বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্রখ্যাত দার্শনিক মিশেল ফুকোর প্রবন্ধ থেকে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে প্রবন্ধ প্রকাশ করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।

২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’র ডিসেম্বর সংখ্যায় 'এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম' শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন এই দুই শিক্ষক।

এরপর প্রকাশিত ওই প্রবন্ধের বিরুদ্ধে ‘চৌর্যবৃত্তি’র অভিযোগ আনে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।

তাদের অভিযোগ, প্রবন্ধের অধিকাংশই নেওয়া হয়েছে প্রখ্যাত দার্শনিক মিশেল ফুকোর প্রবন্ধ 'দি সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' থেকে; যেটি ১৯৮২ সালে শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত হয়। এর প্রকাশকও ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।

মিশেল ফুকোর প্রবন্ধটি ছিল ১০ পৃষ্ঠার। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের প্রকাশিত প্রবন্ধটি আট পৃষ্ঠার। আর এই আট পৃষ্ঠার প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠাই মিশেল ফুকোর 'দি সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার' প্রবন্ধ থেকে হুবহু নেওয়া।

শিকাগো প্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তদন্তে সামিয়া ও মারজানের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি প্রমাণিত হয়। কিন্তু তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কোনো শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি।

তাই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী এএফএম মেজবাহ উদ্দীনকে প্রতিবেদনটি দেওয়া হয় সুপারিশের জন্য। এরই প্রেক্ষিতে সামিয়া ও মারজানের এই একাডেমিক অপরাধের শাস্তির মাত্রা নির্ধারণের লক্ষ্যে বুধবার প্রশাসনিক একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যেহেতু প্লেজারিজমের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাই এখন তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তি নেওয়া যায় তার জন্য এটাকে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে।

বিএ-২০