ফের দায়িত্ব নিলেন শায়েস্তাগঞ্জের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া

শায়েস্তাগঞ্জ, প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
০৬:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
০৬:৪১ অপরাহ্ন



ফের দায়িত্ব নিলেন শায়েস্তাগঞ্জের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া

আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ফের দায়িত্ব পেলেন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৭ নম্বর নুরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া। গত বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্বপদে দায়িত্বপালনের আদেশ পেয়েছিলেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে আজ রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদে এক মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার মাধ্যমে দায়িত্বভার বুঝে কার্যক্রম শুরু করেছেন মুখলিছ।

মুখলিছ মিয়া দায়িত্ব ফিরে পাওয়ায় তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ গাজিউর রহমান, আশরাফ উদ্দিন জিতু, জি এম ইকবাল, হাবিলদার (অবঃ) সামছুল হক, ওয়াহাব উল্লাহ, তাজুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ প্রমুখ। এছাড়াও ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরাসহ বিভিন্ন দলীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে গত ১৯ আগস্ট বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়াকে পুনর্বহালের আদেশ দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে এলে যথাযথ নিয়মনীতির মাধ্যমে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে দায়িত্বপালনের আদেশ দেন।

জানা গেছে, নূরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গত ৮ মে অভিযান পরিচালনা করেন হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন আরাফাত রানা। ওইসময় সরকারি ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করার জন্য সেখানে দেওয়া ২ হাজার কেজি চালের মধ্যে পাওয়া যায় ১ হাজার ৭শ কেজি চাল। বাকি ৩০০ কেজি চালের হদিস না মেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সকল চাল জব্দ করেন এবং অনিয়মের অভিযোগে গত ১৩ মে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪ (১) অনুযায়ী চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদালতের প্রতি সম্মান রেখে গত ১৩ জুলাই হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর ২০ জুলাই জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ওবায়দুল হাসানের বেঞ্চ গত মঙ্গলবার মুখলিছ মিয়াকে ৭ নম্বর নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বহালের আদেশ দেন।

এ বিষয়ে নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুখলিছ মিয়া বলেন, 'কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ আদেশ দিয়েছিলেন। উক্ত অভিযোগ হাইকোর্টের আপিল বিভাগে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আমাকে স্বপদে বহাল রেখে সকল কার্যক্রম পরিচালনার আদেশ দেন। আজ  থেকে আমি আবার নিয়মিতভাবে ইউনিয়বাসীর সেবায় দায়িত্বপালন করতে পারব। সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমার উপর অভিযোগ থাকাকালীন দল-মত নির্বিশেষে আমার প্রিয় নুরপুর ইউনিয়নবাসী সামাজিকভাবে ও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে যেভাবে সাপোর্ট দিয়ে গেছেন, আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি তাদের এ ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারব না। পূর্বের ন্যায় ইউনিয়নবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থাকব বলে আমি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।'

 

এসডি/আরআর-০২