কমলগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, দুর্ভোগে ক্রেতারা

সজীব দেবরায়, কমলগঞ্জ


সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
১০:৩২ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
১১:২২ অপরাহ্ন



কমলগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, দুর্ভোগে ক্রেতারা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের হাট-বাজারে বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। নতুন করে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। আজ শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলগঞ্জের কয়েকটি হাট-বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

কমলগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় বিভিন্ন জাতের চাল কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা করে বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে ভোজ্যতেল লিটারপ্রতি বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। কয়েকদিন আগে পেঁয়াজ ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। দুইদিন আগে সেই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা কমলেও গত ২৪ ঘন্টায় আবারও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা দরে। দেশি রসুনের দাম বেড়ে ৮০ টাকা থেকে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। একইভাবে সব ধরণের শাকসবজি কেজিপ্রতি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

ভানুগাছ বাজারের পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রেতা আজাদ মিয়া বলেন, 'পাইকারি বাজারে চালের দাম বস্তাপ্রতি ২ থেকে ৩শ টাকা বেড়ে গেছে। ফলে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা করে। আসলে দেশের বড় বড় চালের আড়তে ও মিলে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। আমার আগের মজুদ থাকায় আমি এখনও আগের দামে চাল বিক্রি করছি।'

মুদি দোকানি তুহিন আহমদ বলেন, 'দুইদিন আগে ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি করেছি ১০০ টাকা করে। আজ সেই তেল বিক্রি করতে হচ্ছে ১০৫ টাকায়। দেশি রসুন দুইদিন আগে বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ৮০ টাকা করে। এখন সেই রসুন বিক্রি করতে হচ্ছে ১০০ টাকায়।'

এদিকে ক্রেতা হৃদয় ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও নিলু কুমার সিংহ অভিযোগ করে জানান, এমনিতেই করোনার প্রভাবে তারা অর্থনৈতিক কষ্টে আছেন। এখন আবার চাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

কমলগঞ্জ উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র মন্ডল বাজারে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে বলেন, 'বাজার মনিটরিং করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বাজারদর প্রেরণ করা হচ্ছে।'

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক আল-আমিন বলেন, 'ব্যবসায়ীরা যাতে কোনোরকম সিন্ডিকেট করতে না পারে, সেজন্য ভোক্তা অধিকারের অভিযান চলমান আছে।'

 

এসডি/আরআর-০৯