জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
অক্টোবর ০৮, ২০২০
১২:৩০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৮, ২০২০
১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় তরুণীকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ও পরে তরুণীকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বাবাকে মারধরের ঘটনায় বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী। গতকাল মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে ৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার মূল হোতা শামীম আহমদকে পুলিশ এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে এ ঘটনায় আটককৃত চারজনকে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলে- গোতগাঁও গ্রামের লিটন মিয়া (৩০), আকাই মিয়া (২৭), আলম মিয়া (২৮) ও দিলাক মিয়া (২৫)।
এদিকে তরুণীর বৃদ্ধ বাবাকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নোওয়াগাঁও গ্রামের সাঞ্জব আলীর ছেলে কাজল মিয়াকে (৪৫) গতকাল গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও ওই তরুণীর দায়ের করা মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, সাত বছর আগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর দাম্পত্য বিরোধ দেখা দিলে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকে বখাটে শামীম মিয়া ওই তরুণীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। একমাস আগে শামীম তরুণীকে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। শামীমের হাত থেকে বাঁচতে মেয়েটি নবীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে সেখানে চলে যান। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে বখাটে শামীম তার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির বাবার বাড়িতে যান। মেয়েকে না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন শামীম ও তার লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই অভিযানে নেমে চারজনকে আটক করে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মুসলেহ উদ্দিন বলেন, 'ঘটনার খবর পেয়েই আমরা চারজনকে আটক করেছি এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করেছি। মেয়েটির দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে আটককৃত চারজনকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মূল আসামি শামীমকে গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে।'
এএ/আরআর-০৫