দিরাই প্রতিনিধি
অক্টোবর ০৯, ২০২০
১২:০৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৯, ২০২০
১২:০৯ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া জলমহাল দখল নিয়ে আলোচিত ট্রিপল মার্ডারের ঘটনার মামলায় দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, মেয়রের দুই পুত্র উজ্জ্বল মিয়া ও তাজবীর মিয়ার বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিরাই থানার পুলিশের হাতে পৌঁছেছে বলে আজ বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার এসআই গোলাম মুর্শেদ চৌধুরী ফাত্তাহ।
এর আগে পুলিশ, সিআইডি ও পরবর্তীতে পিবিআই'র তদন্ত প্রতিবেদনে এই ৫ আসামিসহ মোট ১৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দাখিল করা হয়। বাদীর আপত্তি সত্ত্বেও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাদের অব্যাহতি দিয়ে দাখিলকৃত চার্জশিট আমলে নিলে ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলার বাদী একরার হোসেন ফের নারাজি দিয়ে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন (মামলা নং-২৪)। বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট গত বছরের ১২ ফ্রেব্রুয়ারি আদেশ রদ ও রহিত করে এবং চলতি বছরের ১০ আগস্ট দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য র্যাবকে দায়িত্ব দিয়ে আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের জারলিয়া (ঘোড়ামারা সাতপাকিয়া) জলমহালের মালিকানা নিয়ে বিরোধে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের অনুসারী যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের সঙ্গে দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের লোকজনের সংঘর্ষে একরার হোসেনের পক্ষের উজ্জ্বল, তাজুল ও শাহারুল নামের তিনজন নিহত হন। ওই ঘটনায় একরার হোসেন বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৫/২০১৭, দিরাই)। ট্রিপল মার্ডারের আসামি হয়েও ওইসময় প্রকাশ্যে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অফিস, রাজনৈতিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা-সেমিনারে যোগ দিতেন আওয়ামী লীগের অভিযুক্ত নেতারা। প্রশাসন ছিল নির্বিকার। সুরঞ্জিত সেনের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনকে সামনে রেখে হাইকোর্ট থেকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের শর্তে ৬ সপ্তাহের অস্থায়ী জামিন নেন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া এই ৫ জনসহ মোট ১৪ জন। এরপর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসর্মপণ না করে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেন তারা।
এএইচ/আরআর-০৮