দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
অক্টোবর ০৯, ২০২০
১২:২৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৯, ২০২০
১২:২৭ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক শহীদ পরিবারকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব নৈনগাঁও গ্রামে মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক হায়েনাদের গুলিতে শহীদ ইদ্রিস আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম ও সামছুল ইসলামের সঙ্গে বন্দোবস্তকৃত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের মৃত মাখন লাল দাসের পুত্র মনোরঞ্জন দাসের। এ নিয়ে সম্প্রতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি বিবিধ মোকদ্দমা দায়ের করেন মনোরঞ্জন দাস (মোকদ্দমা নং- ১৫২/২০২০)। এতে শহিদ পরিবারের তিনজন এবং ছাতক থানার লেবারপাড়া গ্রামের সুহেল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে জড়িয়ে মামলা দায়ের করেন। এই মোকদ্দমাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
মোকদ্দমা সূত্রে জানা যায়, ছাতক থানার মির্জাপুর মৌজার ১ নম্বর খতিয়ানের ৩৩৩৬ দাগের ২ একর ৪০ শতাংশ জমি বর্তমানে গোচর ও গোপাট রকম ভূমি। এটি পূর্ব নৈনগাঁও গ্রামের লোকজন হাওরের ধান মাড়াইয়ের খলা ও গো মহিষ চড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ সামছুল ইসলাম ও তার ভাইদ্বয় ১৯৭৩-৭৪ সালের এক বন্দোবস্তমূলে জায়গাটি নিজেদের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে গ্রামবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করা হলে তা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। এ নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক তাদের মারধরসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। আর এজন্য প্রতিকার চেয়ে মনোরঞ্জন দাস আদালতে ওই মোকদ্দমাটি দায়ের করেছেন।
অপরদিকে শহীদ পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, পূর্ব নৈনগাঁও গ্রামের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মৃত দুস্ত মোহাম্মদের পুত্র সিরাজুল ইসলাম ও শহীদ ইদ্রিস আলীর পুত্র সামছুল ইসলামের নামে ১৯৭৭ সালে বন্দোবস্তকৃত ২ একর ৪৮ একর ভূমি তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি খাজনা পরিশোধক্রমে ভোগদখল করে আসছেন। নামজারী জমাভাগ ভেঙে দেওয়ার আবেদন করেও কোনো লাভ না হওয়ায় এখন প্রতিপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
শহীদ পরিবারের সন্তান নজরুল ইসলাম বলেন, '১৯৭৭ সালে বন্দোবস্ত পাওয়া সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগদখল করে আসছি। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩ ফুট পানি রয়েছে। অথচ সাজানো কথা বলে আমাদের মামলায় জড়িয়ে অহেতুক হয়রারি করা হচ্ছে।'
এইচএইচ/আরআর-১০