ধর্মপাশায় স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


অক্টোবর ২১, ২০২০
০৮:৪৯ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০২০
০৮:৪৯ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলববরষ ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর (১৫) শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খয়েরদিরচর গ্রামের পেছনের সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে ছাত্রীটির বাবা ওইদিনই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার ও ধর্মপাশা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলেন উপজেলার খয়েরদিরচর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে মাদকাসক্ত মামুন মিয়া (২০)। বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্কুল সংক্রান্ত কাজে ওই ছাত্রী নিজ বিদ্যালয়ে যায়। স্কুল নিজ বাড়িতে ফেরার পথে দুপুর ১২টার দিকে সে উপজেলার খয়েরদিরচর গ্রামের পেছনের সড়কে গিয়ে পৌঁছালে তার সামনে দাঁড়িয়ে গতিরোধ করে তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে শুরু করেন মামুন মিয়া। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর হাত ধরে মামুন টানাহেঁচড়া শুরু করলে ছাত্রীর চিৎকার দেন। তখন আশেপাশের লোকজন সেখানে এগিয়ে গেলে বখাটে মামুন সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। বাড়িতে পৌঁছে ওই কিশোরী ঘটনাটি তার বাবাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খয়েরদিরচর গ্রামের সামনের সড়ক সংলগ্ন একটি দোকানে বখাটে মামুনকে দেখতে পেয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা তার কাছে এ ঘটনা কেন ঘটানো হয়েছে তা জানতে চান। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে ছাত্রীর বাবাকে মারধর করার জন্য তেড়ে আসে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। এরপর স্কুলছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে থানার ওসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, 'মামুন মিয়া এক মাদকসেবী। সে বেশ কিছুদিন ধরে আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। আজ দুপুরে সে আমার মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে। এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে আমি থানার ওসি স্যারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।'

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'এ সংক্রান্ত একটি লিখিত আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এসএ/আরআর-০৯