সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ২৫, ২০২০
১২:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০২০
১২:২৭ পূর্বাহ্ন
মহামারি করোনাভাইরা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের চূড়া বা ‘পিক’ গত আগস্ট মাসে পার হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। তাঁরা বলছেন, চূড়া পেরিয়ে গেলেও দেশে এখনও সংক্রমণের প্রথম ঢেউ চলছে। সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) ‘করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে জনস্বাস্থ্যবিদেরা এসব তথ্য জানান। ভার্চ্যুয়াল এ সেমিনারের আয়োজন করে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ।
করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে প্রথম রোগী পাওয়া যায় ৮ মার্চ। এপ্রিলে সংক্রমণ হার ১২ শতাংশে উঠে। ৩১ মেতে সংক্রমণ হার ২০ শতাংশে ঠেকল। এরপর ২০ আগস্ট পর্যন্ত এই হার ২০-এর বেশি ছিল। ২১ আগস্ট সংক্রমণ হার কমে ১৮-এর ঘরে নামে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করে দেশে সংক্রমণের পিক বা চূড়া কবে হলো? ৩১ মে থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত চূড়া ছিল। সাধারণত সুচালো ও মালভূমি আকৃতি এই দু’ধরনের চূড়া দেখা যায়। আমাদের দেশে মালভূমির মতো চূড়া ছিল। তবে এখন প্রথম ঢেউ শেষ হয়নি। সংক্রমণ ১০ শতাংশের ঘরে আছে।’
ওয়েবিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘করোনা সারা বিশ্বের কাছেই নতুন। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও এটি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তে ভুল ছিল না, এমন না। কিন্তু সফলতা যে নেই, এটা বলা যাবে না। করোনার পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে তা মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘করোনা সংকটে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মে জড়িত ছিলেন কিছু জনপ্রতিনিধি। ৬২ হাজার জনপ্রতিনিধির মধ্যে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশেরও কম অনিয়মে জড়িত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় অনিয়ম কমে গেছে।’
দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক পরামর্শক মুজাহেরুল হক। তিনি বলেন, দেশে প্রথম ঢেউ এখনো মিলিয়ে যায়নি। তবে নিয়ন্ত্রণে আনার দিকে যাচ্ছে। জনগণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘শীতকালে এমনিতেই ঠান্ডার সমস্যা থাকে। সেকেন্ড ওয়েভের তীব্রতা কমাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। করোনা শহর এলাকাতে তাণ্ডব বেশি চালাচ্ছে। শহর এলাকাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এই কাজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।’
হাঙ্গার প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য জেহাদুল করিম, সাবেক সচিব আবুল কালাম আজাদ, আবদুল লতিফ মণ্ডল প্রমুখ।
এএফ/০৫