দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
নভেম্বর ০১, ২০২০
০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০১, ২০২০
০২:১৫ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক নিরীহ পরিবারকে মারধর ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের আলমখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম মাস্টারের ইন্ধনে তার প্রভাবশালী আত্মীয়-স্বজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে বোগলাবাজার ইউনিয়নের আননপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের লোকজন ভারতীয় গরুর সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের একটি গরু নিয়ে গেলে এতে বাধা দেন আলমখালি গ্রামের মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র শাহীন মিয়া। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে পরদিন শুক্রবার সকালে খোরশেদ আলমের লোকজনের মধ্যে মীর হোসেন, মিনহাজ, মিজান, নজরুলসহ ৩০/৩৫ জনের সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহীনের বাড়িতে হামলা করে। তাদের ভয়ে ওই পরিবারের নারী ও শিশুরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। হামলাকারীরা সেখানে গিয়েও তাদের বেধড়ক মারধর করে, ঘরবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং ঘরে থাকা নগদ টাকা, আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। প্রভাবশালী পক্ষের এমন তাণ্ডবে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসেন এবং দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে দুইপক্ষের লোকজন আহত হন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, শাহাব উদ্দিন (২৫), সুমি আক্তার (১৭), রুমি আক্তার (১৫), মোর্শেদা আক্তার (২৮), শাহীন মিয়া (১৯), জমিলা বিবি (২৬), সাজেদা বেগম (৫৫), হালিমা বিবি (৭৫) প্রমুখ। তারা দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অপরপক্ষের একজন বর্তমানে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য সাজেদা বেগম বলেন, 'ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টারের আত্মীয়দের প্রভাবে আমরা এখন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে এসেছি। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি আমরা। আমাদের মামলা থানা গ্রহণ করতে চায়নি। তাই আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।'
এইচএইচ/আরআর-১৩