জামালগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি


অক্টোবর ৩১, ২০২০
০৯:৫২ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ৩১, ২০২০
০৯:৫২ অপরাহ্ন



জামালগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

নিহত সামিয়া বেগম ও ঘাতক স্বামী মো. জালাল উদ্দিন

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে এক পাষণ্ড স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) ভীমখালী ইউনিয়নের ফেকুল মাহমুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

খুন হওয়া গৃহবধূ ওই গ্রামের গোলাম জিলানীর মেয়ে সামিয়া বেগম (২০)। আর খুনি স্বামী মো. জালাল উদ্দিন (২২) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ইচ্ছারচর গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে। এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে (মামলা নং-০৮, তারিখ- ৩১ অক্টোবর ২০২০)।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৯ মাস আগে জালাল উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় সামিয়া বেগমের। বিয়ের কয়েকমাস পর স্ত্রীর স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দেন স্বামী জালাল উদ্দিন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। এর জের ধরে স্ত্রী সামিয়াকে মারধর করতেন স্বামী জালাল। একপর্যায়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ২৪ অক্টোবর সামিয়া মা রওশন আরার সঙ্গে নিজের বাবার বাড়িতে চলে যান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে শ্বশুরালয়ে যান স্বামী জালাল উদ্দিন। তবে সামিয়া স্বামীর বাড়িতে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে তার আত্মীয়-স্বজনের পরামর্শে তিনি স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে যেতে রাজি হন। কথাবার্তা শেষে ওই রাতে সবাই খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে রাত আনুমানিক দেড়টায় বটি দা দিয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন জালাল। আহত সামিয়ার চিৎকারে ঘরের সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠেন এবং তারা জালালের হাতে দা দেখতে পান। একই সঙ্গে সামিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তারা চিৎকার শুরু করেন। তখন আশপাশের লোকজন আসতে থাকলে জালাল দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে মারাত্মক আহত অবস্থায় স্বজনরা সামিয়াকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল আলম বলেন, 'আসামি জালাল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা রুজু হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।'

 

বিআর/আরআর-১৬