ক্রীড়া প্রতিবেদক
নভেম্বর ১১, ২০২০
১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০২০
১২:৪৯ অপরাহ্ন
দীর্ঘ দশ বছর পর সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১০ সালের ডিসেম্বরে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন হয়েছিল। মাঝে একাধিকবার নির্বাচনের উদ্যোগ নিলেও নানা আইনগত জটিলতায় শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।
এদিকে, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ মেয়াদী (সাড়ে পাঁচ বছর) অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম। অ্যাডহক কমিটির সদস্য বিজিত চৌধুরীকে তার জায়গায় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সেই লক্ষে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসলাম উদ্দিনকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন সম্পন্ন করতে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন করার কথা। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আসলাম উদ্দিন জানান, ‘আজ কালকের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ৮ ডিসেম্বরের (সম্ভবত) মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে।'
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে ২০১৫ সালের এপ্রিলে সিলেটের জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও মাহিউদ্দিন সেলিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যের আহবায়ক কমিটি দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। কমিটির অন্যান্য সদস্য ছিলেন, সহ-সভাপতি সিলেটের পুলিশ সুপার, কোষাধ্যক্ষ মো. সিরাজ উদ্দিন, সদস্য অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, বিজিত চৌধুরী ও নাজনীন হোসেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইতিহাসে এটাই দীর্ঘ মেয়াদী অ্যাডহক কমিটি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের জন্য করা অ্যাডহক কমিটি পরবর্তীতে বিভিন্ন মামলা থাকায় দফায় দফায় কমিটির মেয়াদ বাড়ান হয়। নির্বাচিত পরিষদের চেয়েও বেশি (সাড়ে ৫ বছর) সময় দায়িত্বে রয়েছে এই কমিটি।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী অ্যাডহক কমিটির কেউ নির্বাচন করার সুযোগ না থাকায় মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এএন/এএফ-০২