ধর্মপাশা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম বহিষ্কার

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


নভেম্বর ১৫, ২০২০
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৫, ২০২০
০২:৩৯ পূর্বাহ্ন



ধর্মপাশা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম বহিষ্কার

ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে সন্তোষজনক জবাব চেয়ে তার কাছে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আজহারুল ইসলাম পুরকায়স্থ দিদার স্বাক্ষরিত দলীয় সভার সিদ্ধান্তের ওই কপি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সরবরাহ করা হয়েছে শনিবার সন্ধ্যায়।

ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভার সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ নভেম্বর ঢাকার ৯ নম্বর  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীনের আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বাদীর (ভিকটিম) জবানবন্দি গ্রহণ করে ভাটারা থানাকে অভিযোগটি এজহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলায় ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদসহ আসামি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজুয়ান আলী খান আর্নিককে। ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ইতোমধ্যে খবরও ছাপা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মপাশা উপজেলা শাখার সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের অনুপস্থিতিতে তাঁর পরামর্শে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিসের পরিচালনায় শনিবার অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে গৃহিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদকে অনৈতিক কাজের জন্য সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।      

ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ মুরাদের সঙ্গে এ নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ঘটনাটি পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু রেজুয়ান আলী খান আর্নিক। আমাকে ও আমার বন্ধুকে জড়িয়ে ধর্ষণের চেষ্টার যে নাটকটি সাজানো হয়েছে তা মিথ্যা কল্পকাহিনী।' 

তিনি দাবি করেন, 'গতবছরের ১ অক্টোবর সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর) আসনে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দলীয় স্বজনপ্রীতি, ব্যক্তিলীগ প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি ও নানা অনিয়ম তুলে ধরে একটি বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমার ওই বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছিল। আর ওই ঘটনার পর থেকে আওয়ামী লীগ নামধারী একটি কুচক্রীমহল আমাকে নানাভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।'

 

এসএ/আরআর-০৪