দিরাইয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যুবলীগের প্রতিবাদ

দিরাই প্রতিনিধি


নভেম্বর ১৫, ২০২০
১০:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০২০
১২:৪০ পূর্বাহ্ন



দিরাইয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যুবলীগের প্রতিবাদ

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন নিয়ে ফেসবুকে এলাকার চিহ্নিত রাজাকারপুত্রের' পৃষ্টপোষকতায় 'অপপ্রচারের' প্রতিবাদ জানিয়েছে উপজেলা ও পৌর যুবলীগ।

আজ রবিবার (১৫ নভেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে লিখিত প্রতিবাদলিপি সরবরাহ করা হয়।

দিরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা যুবলীগ নেতা বিশ্বজিৎ রায়, কামরুজ্জামান কামরুল, লালন মিয়া, পৌর যুবলীগের সভাপতি সারোয়ার আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়াসহ শতাধিক নেতা-কর্মী স্বাক্ষরিত লিখিত প্রতিবাদলিপিতে তারা উল্লেখ করেন, বিগত ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিরাই উপজেলা ও পৌর যুবলীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এর পূর্বে প্রতিকৃতির বেদীর সামনের উঠানে পুষ্পস্তবক নিয়ে গ্রুপ ফটোসেশন করেন নেতা-কর্মীরা। পরদিন গ্রুপ ফটোসেশনের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘জুতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানালো নামধারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা’ বলে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচার চালাতে থাকেন আহমেদ জানে আলম নামের এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নগদীপুর গ্রামের ইয়সির মিয়ার পুত্র। এর পরদিন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তাকে এবং তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নামে কুৎসা রটান তিনি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে দেশবাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তা ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়। তার ওই স্ট্যাটাসগুলো নিজের আইডি থেকে বার বার শেয়ার দিয়ে ভাইরাল করতে সহযোগিতা করেন স্থানীয় যুদ্ধাপরাধী মৃত আব্দুস সালামের পুত্র বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী মতিউর রহমান মতি।

অপপ্রচারকে আওয়ামী পরিবারের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী ও রাজাকারের উত্তরসূরীদের ঘৃন্য ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ লিখিত প্রতিবাদলিপিতে বলেন, অপপ্রচারকারী জানে আলম সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সে ছাত্রদলের কর্মী ছিল। ছাত্রলীগের কোনো শাখা কমিটিতে তার সদস্যপদ নেই। রাজাকারপুত্র মতিউর রহমান নিজের প্রচারের জন্য আইটি বিষয়ে দক্ষ জানে আলমকে কাছে টেনে নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পক্ষে প্রচারণার কাজে লাগান তাকে। সেখান থেকে মতিউরের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থানীয় আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী ও নৌকার বিরোধীতাকারীদের সান্নিধ্যে আসা জানে আলম বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সে আওয়ামী পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করতে থাকে।

সম্প্রতি সিলেট এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি রবিউলকে পালিয়ে যেতে ম্যাসেঞ্জারে তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে জানে আলম। তাদের ওই গোপন কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ভাইরাল হলে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ফেসবুকে তার শাস্তির দাবি জানান।

স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত বিষয় উদঘাটন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন যুবলীগ নেতৃবৃন্দ। 

 

এএইচ/বিএন-০২/আরআর-০২