দিরাই প্রতিনিধি
নভেম্বর ১৬, ২০২০
১০:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৭, ২০২০
১২:১৬ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে মঞ্জুর খান নামের এক কৃষকের ৩টি গরু, ৪টি ভেড়া ও ৯০ মন ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, শিশুকন্যাকে প্রস্রাব করানোর জন্য মঞ্জুর খানের স্ত্রী ঘরের বাইরে বের হয়ে প্রথমে আগুন দেখতে পান। তখন পরিবারের লোকজন প্রতিবেশেীদের সহযোগিতায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে দিরাই থানার পুলিশ।
কৃষক মো. মঞ্জুর খান জানান, অন্যের জমি বর্গা চাষ করে সংসার চলে তার। স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৪ মেয়ের সংসারে তিনি একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। বসতবাড়ি ও গবাদিপশুগুলোই তার একমাত্র সম্বল। পুড়ে যাওয়া ধানগুলো রেখেছিলেন পরিবারের লোকদের আহার ও চলতি বোরো মৌসুমে চাষাবাদের কাজের ব্যয় নির্বাহ করতে।
বুক চাপড়ে কেঁদে কেঁদে কৃষক মঞ্জুর খান বলেন, 'আমার পুড়ে যাওয়া ঘরটি গোয়ালঘর ও ধান রাখার গোলাঘর হিসেবে ব্যবহার করতাম। ঘরে কারেন্টের লাইন ছিল না, কেউ রাতে ঘুমাতোও না। নিশ্চয়ই কেউ আগুন লাগিয়ে আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।'
মঞ্জুর খান আরও বলেন, 'তিনটি গরুই গর্ভবতী ছিল। একেকটা গরু ৬০/৭০ হাজার টাকা মূল্যের ছিল।'
আগুনে গরু, ভেড়া, ধান ও ঘর পুড়ে তার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৌলতপুর গ্রামের সুয়েব খান বলেন, 'কৃষক মঞ্জুর খান একজন দরিদ্র বর্গাচাষী। গবাদিপশু ও ধানগুলোই তার সম্বল ছিল। আগুনে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেলেন।'
স্থানীয় বাসিন্দা খান ছালিম বলেন, 'পুড়ে যাওয়া ওই ঘরটিতে কোনো মানুষ রাত্রিযাপন করত না, এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগও ছিল না। আগুন লাগার কোনো উৎস ঘরটিতে না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায় কেউ ক্ষতি করার উদ্দেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।'
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। কৃষক মঞ্জুর খান একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।'
এএইচ/বিএন-০২/আরআর-০১