জগন্নাথপুরে দুইদিনেও মিলেনি বিদ্যুৎ, সীমাহীন দুর্ভোগ

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


নভেম্বর ১৯, ২০২০
০২:২৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০২০
০২:২৮ পূর্বাহ্ন



জগন্নাথপুরে দুইদিনেও মিলেনি বিদ্যুৎ, সীমাহীন দুর্ভোগ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গত দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলাবাসী। বিদ্যুৎ কখন সরবরাহ করা হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সিলেটের কুমারগাঁওস্থ ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন লেগে বিদ্যুতের দু'টি গ্রিড পুড়ে যায়। এরপর থেকে জগন্নাথপুরসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যু্ৎ সংযোগ পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আজ বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলাবাসী।  বিদ্যুতের অভাবে দেখা দিয়েছে পানি সংকট, নষ্ট হচ্ছে ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র, মোবাইল চার্জ দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে। মোমবাতি, হারিকেন আর কুপি বাতির আলোই এখন ভরসা হয়ে উঠেছে অধিকাংশ পরিবারের। বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে দোকানপাট ও বিপণিবিতান। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতাদের উপস্থিতি কমে গেছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পাড়া, মহল্লা আর গ্রামীণ জনপদে ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেট সংযোগেও।

জগন্নাথপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহির উদ্দিন জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পৌরশহরের ইকড়ছই আবাসিক এলাকার সামিনা আক্তার নামের এক গৃহিনী জানান, দুইদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঘরের ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকায় দেশ-বিদেশের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। কবে বিদ্যুৎ মিলবে তাও নিশ্চিত নয়।

জগন্নাথপুর উপজেলার আবাসিক (বিদ্যুৎ) প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম বলেন, 'ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র পুড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মেরামতের কাজ চলছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কখন পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আজ মধ্যরাতে বিদ্যুৎ পাওয়া না গেলে কাল বৃহস্পতিবার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

 

এএ/আরআর-১০