দুই পা হারানো নদীর পাশে 'প্রাউড টু বি সিলেটি ইউকে'

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৫, ২০২০
০৫:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০২০
০৭:০০ অপরাহ্ন



দুই পা হারানো নদীর পাশে 'প্রাউড টু বি সিলেটি ইউকে'

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই পা হারানো মেধাবী স্কুলছাত্রী নদীর পাশে দাঁড়াল প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে। নদীকে দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।

আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে প্রেসক্লাব মিলনাতয়নে প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে'র হবিগঞ্জ প্রতিনিধি তোফাজ্জল সুহেলের সভাপতিত্বে ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরানের পরিচালনায় আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ-লাখাই-শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ-৩) আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মো. আবু জাহির।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম জায়েদ, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারমান মোছা. মুক্তা আক্তার, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল্লাহ সরদার, ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুসাইন মো. আদিল জজ, নিজামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজ উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি আসম আফজল আলী ও সাংবাদিক হাফিজুর রহমান নিয়ন। অনুষ্ঠানে আহত স্কুলছাত্রী নদীর হাতে ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেন প্রধান অতিথি।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে নদীর জীবনে নেমে এসেছিল ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা। বিকেলে বাসার পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলছিল নদী। ওই ভবনের উপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারটি খুলে রাখা হয়েছিল ছাদে। পাশেই জমানো পানিতে পড়েছিল আরও একটি তার। খেলতে খেলতে ওই পানিতে পা পড়ে যায় নদীর। এতে গুরুতর আহত হয় সে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে নদীকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে গত ৪ জুন নদীর দুই পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলা হয়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন পুড়ে যাওয়া অংশ সার্জারি করা হয়। প্রায় ৩ মাস চিকিৎসা শেষে টাকার অভাবে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন নদীর বাবা রফিক মিয়া। এখনও তার অনেক চিকিৎসা বাকি। কাপড় ব্যবসায়ী রফিক মিয়া গ্রামের জায়গা-জমি ও প্রাইভেটকার বিক্রি করেও চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারেননি। পরে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছে তাকে। এ পর্যন্ত চিকিৎসা বাবদ ১৯ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

এ অবস্থায় শায়েস্তাগঞ্জ সমিতি ইউকে'র সভাপতি ও প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে'র সদস্য এডভোকেট মীর গোলাম মোস্তফা নদীর জন্য এ অনুদানের ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে এডভোকেট মীর গোলাম মোস্তফা বলেন, 'মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আমি ইউকেতে বসবারত সিলেটিদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকে নদীর জন্য ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করে। এছাড়াও আরও সহযোগিতা করার  জন্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।'

 

এসডি/বিএন-০৩/আরআর-০৪