‘গণপরিবহনে ৯৪ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ২৭, ২০২০
০১:৪৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৭, ২০২০
০১:৪৭ পূর্বাহ্ন



‘গণপরিবহনে ৯৪ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার’

‘আমাদের সমাজে ঘরে-বাইরে সবজায়গায় নির্যাতিত হচ্ছেন নারীরা। গণপরিবহনে প্রায় ৯৪ শতাংশ নারী হয়রানির শিকার হন। তারা পারিবারিক সহিংসতারও শিকার হচ্ছেন। পুরুষ ও কিশোরদের সচেতন করতে পারলে নারী ও শিশু নির্যাতন অনেকটা কমে আসবে। নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পারিবারিক সহিংসতা রোধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’ 

ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির উদ্যোগে ‘নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে পুরুষ এবং কিশোরদের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরের জিন্দাবাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বক্তারা নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে গণমাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, ‘দেশের গণমাধ্যম সবসময় নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা পালন করছে। আগামীতেও একই ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।’

বক্তারা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশে বাল্যবিয়ে বেড়ে গেছে। বাল্যবিয়ের ফলে কিশোরীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই বাল্যবিয়ে রোধে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

ব্র্যাক ডিভিশনাল ম্যানেজার (পিএসইউ) রিপন চন্দ্র মন্ডলের সভাপতিত্বে ও টেকনিক্যাল ম্যানেজার (জিজেডি) মহসিনের পরিচালনায় কর্মসূচির শুরুতে প্রকল্পের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক জেলা ব্যবস্থাপক (সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচি) মুহাম্মদ কায়েম উদ্দিন। 

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুল কাদের তাপাদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সময় টিভির বিশেষ প্রতিনিধি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, দেশ রূপান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক ও দৈনিক উত্তরপূর্ব’র বার্তা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, সমকালের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মুকিত রহমানী, ভোরের কাগজের রিপোর্টার খালেদ আহমদ, সিলেট মিরর’র স্টাফ রিপোর্টার মো. নাবিল হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভায় ব্র্যাকের টেকনিক্যাল ম্যানেজার মো. আব্দুল বাতেন, মাঠ সংগঠক বিউটি রায় ও রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

বিএ-০৫