মাধবপুর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
১১:১৬ পূর্বাহ্ন
আখাউড়া-সিলেট রেললাইনের হবিগঞ্জের মাধবপুরের শাহজীবাজারে ট্রেন দুর্ঘটনাটি মূলত স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণেই ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ট্রেনের চালকরা।
তারা বলছেন, শাহজীবাজার স্টেশনের কাছে রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। অথচ তাদেরকে পূর্বে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। এমনকি ট্রেন আসার সময় স্টেশন মাস্টার স্টেশনে না থাকায় কোনো ধরণের সিগনাল দেওয়া হয়নি। এর ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের সহকারী চালক হামিদুর আহমেদ বলেন, ‘রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। কিন্তু আমাদের কোনো নোটিশ বা সিগনাল দেওয়া হয়নি। ফলে ট্রেনটি ১ নম্বর লাইন দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ইঞ্জিন অটোমেটিক ২ নম্বর লাইনে চলে যায়। এছাড়া বগি চলে যায় ১ নম্বর লাইনে। যে কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
এদিকে, ঘটনার পর থেকে শাহজীবাজারের স্টেশন মাস্টার মোফাজ্জল হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুর আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী ট্রেন আসছে। কখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে, আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুরে শাহজীবাজার রেলস্টেশনের ২০০ গজ দক্ষিণে সিলেটগামী মালবাহী ট্রেন (ট্রেন নং- ৯৫১) লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনের বগিতে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে ট্রেনের ৫টি তেলবাহী বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তেল সংগ্রহ করতে ভীড় করেছেন। লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যাওয়া ট্রেনের ওয়াগন থেকে তেল সংগ্রহের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। কারও হাতে বালতি, কারও হাতে পাতিল, কারও হাতে জগ, আবার কারও হাতে আছে প্লাস্টিকের বড় গামলা। সবাই এসব পাত্রে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। কার আগে কে তেল নিয়ে যাবেন তা নিয়ে যেন চলছে এক ধরণের প্রতিযোগিতা। রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী ও থানার পুলিশ বার বার চেষ্টা করেও তাদের নিবৃত্ত করতে পারেনি।
এসএম/বিএন-০৭/আরআর-০৫