মাধবপুর প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
১০:২০ পূর্বাহ্ন
ঢাকা-সিলেট রেলপথের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার রেলস্টেশনের কাছে একটি তেলবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৫টি বগি লাইনচ্যুতের কারণ খতিয়ে দেখতে দু'টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ডিভিশনাল লেভেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি ও চিফ মেকানিক্যাল অফিসারকে প্রধান করে ৪ সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন জানান, কমিটি দু'টিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পুরোনো লাইন (৩ নম্বর) সংস্কার করে রাত ১টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। পরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকাপড়া ট্রেনগুলো নিজ নিজ গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে এ রেল দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী ডিজেলবাহী একটি ট্রেন দুপুর ১২টার দিকে শাহজীবাজার রেলস্টেশনের কাছে পৌঁছালে লাইনচ্যুত হয়ে রেললাইনের পাশে পড়ে যায়। এ সময় ট্রেনে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ওই ট্রেনের চালক হামিদ আলী জানান, রেল কর্মচারীরা ওইসময় লাইনের পয়েন্টের মেরামত কাজ করছিল। মেরামত কাজে ক্রটি থাকায় ইঞ্জিনসহ ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনযাত্রার সবুজ সংকেত স্বাভাবিক ছিল। রেলকর্মীদের কাজে ক্রটিজনিত কারণে ওই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম থেকে বিক্রয় উপযোগী শোধন করা মেঘনা কোম্পানির তেল ভর্তি করে সিলেটে যাচ্ছিলাম। এ দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত দু'টি বগি থেকে প্রায় ৭৮ হাজার ৪৮২ লিটার ডিজেল এলাকার লোকজন ছোট ছোট কন্টেইনার ও বালতিতে ভর্তি করে নিয়ে গেছে।’
শাহজীবাজার রেলস্টেশনের মাস্টার মোয়াজ্জেল হোসেন বলেন, ‘ট্রেনের যাত্রা সংকেতে কোনো ক্রটি ছিল না। তবে স্টেশনের কাছে মেরামতকাজে পয়েন্টের লোকজনদের ক্রটির কারণেই মূলত এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এসএম/আরআর-০১
