শায়েস্তাগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
০২:৫১ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
০৮:০৭ অপরাহ্ন



শায়েস্তাগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ

আজ ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদারবাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত হয় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা। তাই এ দিনটিকে উদযাপন করতে প্রতিবছর নানা অনুষ্ঠানের আয়াজন করা হয়।

যানা গেছে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদারবাহিনী কর্তৃক গণহত্যা শুরুর পর পরই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এখানে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। বৃহত্তর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মুজিববাহিনী উড়িয়ে দেয় শায়েস্তাগঞ্জ পুরাতন খোয়াই ব্রিজটি। স্থানে স্থানে রেললাইন অবরোধ করা হয়। 

এরই মধ্যে ২৯ এপ্রিল হঠাৎ করে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী শায়েস্তাগঞ্জ শহরে এসে উপস্থিত হয় বলে যানা স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান। দুইদিক থেকে ৭ ঘন্টা যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি পাক সেনা-রাজাকার-আল বদর হটিয়ে মুক্ত হয় শায়েস্তাগঞ্জ শহর।

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, অসংখ্য মানুষকে চোখ বেঁধে খোয়াই ব্রিজের উপর থেকে কখনও গুলি করে, আবার কখনও হাত-পা বেঁধে জীবন্ত অবস্থায় নদীতে ফেলে দিত হায়েনার দল। 

অবশেষে ৮ ডিসেম্বর সিলেটে সর্বাত্মক যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনী সড়ক ও রেলপথে শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে ঢাকার উদ্দেশে পালাতে থাকে। একই সঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ থেকেও সরে পড়ে তারা। দীর্ঘ ৯ মাস পরে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ বিজয় পতাকা হাতে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শায়েস্তাগঞ্জ শহর।

উল্লেখ্য, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বড়চর স্কুল প্রাঙ্গণে রয়েছে সিলেট বিভাগের প্রথম দুই শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর। তারা হলেন শহীদ হাফিজ উদ্দিন ও মহফিল হুসেন। এছাড়া দাউদনগর বাজার রেলওয়ে গেট সংলগ্ন স্থানে রয়েছে বধ্যভূমি। এ বধ্যভূমিতে ১১ জন চা শ্রমিককে হত্যা করে কবর দিয়ে রাখা হয়। শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার রেলওয়ে ব্রিজেও অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী।

 

এসডি/বিএন-০২/আরআর-০২