সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ১২, ২০২০
০১:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১২, ২০২০
০১:৫৭ অপরাহ্ন
‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী জেলা-উপজেলা এবং বিদেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ‘চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচি ‘রূপকল্প ২০২১’ এর মূল উপজীব্য। যার বাস্তবায়নের মূল লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ।
সেই হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এক যুগ পূর্তির দিন আজ।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল ১০টায় চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে শুরু হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ উদ্বোধনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে , আইসিটি বিভাগের অধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা এবং এটুআই প্রোগ্রাম বিগত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। প্রণয়ন করেছে আইন, নীতিমালা, বিধিমালা ও স্ট্র্যাটেজি।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিজ্যুয়াল কালার ভার্সন এবং বিশ্বসেরা এই ভাষণের ২৬টি নির্বাচিত বাক্য দেশের ২৬ জন খ্যাতিমান লেখকের দ্বারা বিশ্লেষণ করিয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রযুক্তির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল ভার্সনে (মোবাইল অ্যাপ ও ই-বুক) রূপান্তর।
৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের হলোগ্রাফিক প্রজেকশন রূপান্তর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ‘মুজিব হান্ড্রেড’ ওয়েবসাইট এবং ‘মুজিববর্ষ লোগো তৈরি করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১২ মে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যালোইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের এলিট ক্লাবের সদস্য হওয়া বড় অর্জন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বলেছেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ শুধু আওয়ামী লীগের নয়, ১৭ কোটি মানুষের। ঘরে ঘরে প্রতিটি মানুষ ভোগ করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে দেশের জনগণ করোনা মহামারিতেও সংযুক্ত থাকতে পেরেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত, সরবরাহ ব্যবস্থা এমনকি বিচারিক কাজ সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।”
আরসি-০৪