কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা, শঙ্কায় কৃষকরা

হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
০৬:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০২০
০৬:৩০ অপরাহ্ন



কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলা, শঙ্কায় কৃষকরা

গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশায় বীজতলায় জমে থাকছে ঠান্ডা পানি। আর এই পানির কারণে চারা বড় হচ্ছে না। মৌসুমের আগেই এ ধরণের পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া কৃষকরা চিন্তায় পড়ে গেছেন।

বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র শীত ও কুয়াশা পড়েছে। তবে এখন অনেক জায়গায় হালকা রোদও উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু এতেই উপজেলার অনেক বীজতলার চারাগুলো অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে নিয়ম মেনে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠান্ডা থেকে বীজতলাকে রক্ষা করার জন্য সকাল থেকে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত পলিথিনের ছাউনি দিয়ে বীজতলাকে ঢেকে রাখতে হবে। সকালে বীজতলার উপরে হালকা দড়ি দিয়ে টেনে কুয়াশা সরিয়ে দিতে হবে। এতে করে চারা সতেজ থাকবে। রোগ দমনের জন্য বীজতলায় মাত্রানুযায়ী ইউরিয়া প্রদান করতে হবে।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, শীতের কারণে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা করছি। কুয়াশায় বীজতলায় ঠান্ডা পানি জমে চারা মারা যাচ্ছে। আর যে অংশটুকু ভালো সেখানে চারা বড় হচ্ছে না।

নুরপুর ইউনিয়নের কৃষক কামরুল হাসান বলেন, তীব্র শীতে বীজতলার চারা মারা যাচ্ছে। এছাড়া চারা লালচে রঙের হয়ে গেছে। বড়ও হচ্ছে না। বীজতলাতে কিছু কীটনাশক ছিটিয়ে দিচ্ছি, যাতে চারা তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এমন আবহাওয়া যদি আরও কয়েকদিন থাকে, তাহলে আবারও বীজতলা তৈরি করতে হবে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আমাদের।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, এবার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বোরো ধানের বীজতলা ৮০ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে এবং বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৩৫০ হেক্টর। এখন যে অবস্থা আছে, তাতে বীজতলার আসলে খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। আর ঘন কুয়াশা থেকে বীজতলাকে সুরক্ষা দিতে হলে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে। সকালে কোনো কাপড় দিয়ে টেনে কুয়াশাকে ফেলে দিতে হবে। যদি একদমই রোদ না ওঠে, তবে বীজতলায় কিছুটা পানি ধরে রাখলে সুফল পাওয়া যাবে। আর যদি কৃষকরা একদমই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা সহায়তা করব।

 

এসডি/আরআর-০১