সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ০৩, ২০২১
০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০৩, ২০২১
০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর বাবা বাংলাদেশের মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফের কবরে দলটির নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ সময় সৈয়দ আশরাফের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
আলোচিত এক-এগারোর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৯ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের সম্মেলনে তিনি টানা দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাসজীবনে যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সৈয়দ আশরাফ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন সৈয়দ আশরাফ। তবে শপথ নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি। সৈয়দ আশরাফ এক কন্যার জনক।
এএফ/০১