পিলখানা হত্যাকাণ্ড : হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ৯ আসামির আপিল

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ০৬, ২০২১
০৩:০২ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০৬, ২০২১
০৯:৫১ অপরাহ্ন



পিলখানা হত্যাকাণ্ড : হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ৯ আসামির আপিল

বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামি (লিভ টু আপিল) আপিলের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আজ বুধবার (৬ জানুয়ারি) নথিপত্রসহ ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৫ পৃষ্ঠার আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

অন্য আসামির আপিলের ক্ষেত্রে এসব নথি থেকে রেহাই দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে। তিনি অনুমতি দিলে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে অন্য আসামিদের পক্ষে আপিল করতে পারবেন বলেও জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী।

বুধবার এমন তথ্য জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কামাল মোল্লা, মনিরুজ্জামান, ইউসুফ আলী, আবু সাঈদ আলম, সাঈদুর রহমান, আনিসুজ্জামান, ফজলুল করিম, বজলুর রশীদসহ ৯ জনের আবেদন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এসব আপিলে বিচারিক আদালতের রায়, হাইকোর্টের রায়, আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৫টি। অন্যদের ক্ষেত্রে যেন এসব নথি না দিতে হয় সে ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন করা হয়েছে। তিনি অনুমতি দিলে ১৩ জানুয়ারির মধ্যে তাদের বিষয়ে আপিল করতে পারবো।

এদিকে, সম্প্রতি হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত এবং যাদের সাজা কমানো হয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও আপিল আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং ২৭৮ জনকে খালাস দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার হাইকোর্টের রায় প্রকাশ হয়।

রায় প্রকাশের পর ৮ জানুয়ারি প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছিলেন, রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকি ১২ জনের মধ্যে আটজনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও অন্য চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে ১৮৫ জনকে। তার ভেতরে একজন মারা গেছেন।

এ ছাড়া আদালত ১৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন দুজনকে। আদালত ১৫৭ জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া ১৩ জনকে সাত বছর, ১৪ জনকে তিন বছর এবং এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দুজনকে। মোট ৫৫২ জনকে সাজা এবং ২৮৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মোট মারা গেছেন ১৪ জন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

বিএ-০১