সিলেট মিরর ডেস্ক

জানুয়ারি ১০, ২০২১
০৮:৩৬ অপরাহ্ন

আপডেট : জানুয়ারি ১০, ২০২১
০৯:০৬ অপরাহ্ন

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার চার্জ গঠনের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১২ জানুয়ারি পুনঃনির্ধারিত হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার অন্যতম আসামি তারেকুল ইসলাম তারেকের পক্ষে করা জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। 

আজ রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকালে বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মো. মোহিতুল হকের আদালত এ সিদ্ধান্ত দেন।

সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাঈদা খানম সিলেট মিররকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ১২ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নারাজি দাখিলের জন্য আজ সকাল ১১টায় ৮ আসামির উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় বাদিপক্ষ অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য সময় প্রার্থনা করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী ১২ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের নতুন দিন ধার্য করেন। এসময় আসামি তারেকের পক্ষে জামিন চাওয়া হলে আদালত তা নাকচ করে দেন।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এই আটজনই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।

এ ঘটনায় পরদিন সকালে ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় গ্রেপ্তার আট আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এএফ/০৫