হবিগঞ্জে উন্মুক্ত হলো মানিক চৌধুরী পাঠাগার

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ১০, ২০২১
০৭:৩৮ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১০, ২০২১
০৭:৩৮ অপরাহ্ন



হবিগঞ্জে উন্মুক্ত হলো মানিক চৌধুরী পাঠাগার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগার। 

আজ রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিন নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং তিন শহীদ পরিবারের সন্তান উপস্থিত থেকে ১১ জন শিক্ষার্থীর হাতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীবিষয়ক বই, শীতবস্ত্র ও শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়েছে। 

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত উপলক্ষে হবিগঞ্জ শহরের স্টাফ কোয়ার্টারস্থ কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগার ও হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মিলাদ মাহফিল এবং এর পরবর্তীসময়ে ৭ দিন শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর কন্যা ও সাবেক এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। 

পাঠাগার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছেন পাঠাগার প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা সাবেক এমপি কেয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী একজন ভাষাসংগ্রামী। তাই ভাষার মাসকে আমরা উদযাপন করব ভাবগাম্ভীর্য ও ফাগুন বরণের ঐতিহ্যের সঙ্গে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়ব আলী বলেন, ‘মানিক ভাই অত্যন্ত সাহসী একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাকে আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।’ বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল আহসান বলেন, ‘মানিক ভাই অত্যন্ত নিঃশর্ত একজন মানুষ ছিলেন অত্যন্ত সাহস নিয়ে ও ভালোবাসা নিয়ে আমাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতেন।’ অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টচার্য্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে হবিগঞ্জে কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী শেরপুর-সাদিপুরে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন।’

নারী  মুক্তিযোদ্ধা রাজিয়া খাতুন বলেন, ‘কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর মেয়ে কেয়া চৌধুরী নিজের পৈতৃক সম্পত্তি আমাদের জন্য দান করেছেন। এই জাদুঘর আমাদের সকলের জাদুঘর।’ শহীদ সন্তান ছোরাব বলেন, ‘হবিগঞ্জ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সঙ্গে আমরা সবসময় থাকব।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও পাঠাগার মানিক চৌধুরীর কন্যা কেয়া চৌধুরীর মাধ্যমে গড়ে উঠছে। কিন্তু এটি কাজ করবে সবার জন্য। আমি কেয়া চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করি, কারণ সে যখন যে কাজ করে সেটা দেশাতœবোধক কাজ করে।’ ‘আমার হবিগঞ্জ’ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্ত বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে মানিক চৌধুরীর নাম অনুপ্রেরণামূলক। এই কারণে তিনি ভাষা আন্দোলনের জন্য ছাত্রনেতা হিসাবে হবিগঞ্জে প্রথম কারাবরণ করেন। আর চা-শ্রমিকদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তীরান্দাজ বাহিনী গড়ে তুলেন।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টচার্য্য, অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ, বীর মক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, হোসেন কাজল, সিরাজ মিয়া, মনসুর আলী, আব্দুর রফিক, সফিউল আলম, শেখ আব্দুল কাইয়ুম, ছিদ্দিক আলম, তৈয়ব খান, ইসহাক মিয়া, আব্দুর রব, তাহের মিয়া, জিয়াউল আহসান, নুরুল হক, গোলাম রাব্বানী, সার্জেন্ট আব্দুল আলী, হুমায়ুন কবির, মেজর মামুন উর রশিদ, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা রাজিয়া খাতুন, ছাবেদা বেগম প্রমুখ।

 

এএফ/০৬