হবিগঞ্জসহ ৩১ পৌরসভায় নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ১৯, ২০২১
০৯:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২১
০৯:৪২ অপরাহ্ন



হবিগঞ্জসহ ৩১ পৌরসভায় নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি

স্থানীয় সরকারের চলমান পৌর নির্বাচনে পঞ্চম ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পঞ্চম ধাপে হবিগঞ্জ পৌরসভাসহ দেশের ১৯ জেলার ৩১ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। সব পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তফসিল ঘোষণা করেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি ও প্রতীক বরাদ্দ ১২ ফেব্রুয়ারি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, মানুষের আস্থা বেড়েছে ভোটের প্রতি। ইভিএমে ভোট দিলে ভোট আরো সুন্দর হয়, এ জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন, চারটার পরও ভোট নেওয়া হয়েছে।

ইসি সচিব বলেন, ‘সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আছে। সহিংসতা বন্ধে যথেষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। তবে সব জায়গায় কিছু লোক থাকে, যারা ভালো জিনিসকে ভালো দেখতে চায় না। যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে না, সেখানে লোকজন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। যেগুলো খণ্ডচিত্র মাত্র, এটা সার্বিক পরিস্থিতি না। সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো, অত্যন্ত সুন্দর। উদাহরণ হলো প্রচুর মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন।’

ইসি সচিব আরও বলেন, আচরণবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনও হতে পারে, প্রার্থী বিজয়ের পর মিছিল বের করলে বিজয়ী হওয়ার পরও কমিশন প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে।

মো. আলমগীর বলেন, ‘কঠিন বার্তা, কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না। নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করলে পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা হয়, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে দেশের রাষ্ট্রের যেমন ক্ষতি, তেমনি নিজেরও ক্ষতি; এটা যেন তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেন।’

পঞ্চম ধাপে চট্টগ্রামের মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান ও বারইয়ারহাট, লক্ষ্মীপুরে রায়পুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, হবিগঞ্জ জেলার হবিগঞ্জ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ ও জামালপুর সদর, রাজশাহীর চারঘাট ও দুর্গাপুর, বগুড়া জেলার বগুড়া সদর, মানিকগঞ্জের সিংগাইর, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, চাঁদপুরের মতলব ও শাহারাস্তি, যশোরের কেশবপুর ও যশোর সদর, মাদারীপুরের শিবচর ও মাদারীপুর সদর, রংপুরের হারাগাছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর, জয়পুরহাটের জয়পুরহাট সদর, ময়মনসিংহের নান্দাইল, ভোলার জেলার ভোলা সদর, চরফ্যাশন এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ।

দেশে পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার চার ধাপে এসব পৌরসভায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিলেও পরে সেখান থেকে সরে আসতে হয় ইসির।

প্রথম ধাপের ২৪ পৌরসভায় গত ২৮ ডিসেম্বর ভোট হয়েছে। এরপর ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ভোট হয়েছে ৬০ পৌরসভায়। তৃতীয় ধাপে ৬৪ পৌরসভায়  ভোট ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্ধ ধাপে ৫৬ পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে।

আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে পৌরসভায় প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।

বিএ-০৮